অবস্থান: দুর্গাপুরের বেসরকারি স্কুলের সামনে। নিজস্ব চিত্র।
স্কুল ফি মেটাতে না পারায় মাধ্যমিক রেজিস্ট্রেশন শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগে শুক্রবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত দুর্গাপুরের এমএএমসি টাউনশিপের একটি বেসরকারি ইংরেজিমাধ্যম স্কুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকদের একাংশ। কয়েকজন পড়ুয়াও বিক্ষোভে যোগ দেয়। পুলিশ যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, পরে ফি মিটিয়ে দেওয়া হবে, এই মর্মে অভিভাবকদের কাছ থেকে দরখাস্ত চাওয়া হয়েছিল। তা দিতে না চাওয়াতেই এই পরিস্থিতি।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরভর অনলাইনে পঠন-পাঠন চালানো হয়েছে। পরে অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতিতে একাধিক বার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এ দিন মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন শংসাপত্র দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু ফি না মেটালে শংসাপত্র দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ, এই দাবিতে স্কুলের গেটের সামনে বসে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন অভিভাবকদের একাংশ। কিছু পড়ুয়া যারা একা-একা স্কুলে এসেছিল, তারাও অভিভাবকদের সঙ্গে যোগ দেয়। অভিভাবকদের তরফে এক জন বলেন, ‘‘অনেকেই আমরা আর্থিক সমস্যায় রয়েছি। অবিলম্বে সব বকেয়া ফি মিটিয়ে দেওয়া হবে, এমন দরখাস্ত দিতে বলছেন কর্তৃপক্ষ। আমরা তা মানব না। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ফি ছাড় দিতে হবে।’’
স্কুলের তরফে শিক্ষক সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মাধ্যমিকের ফর্ম পূরণের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, অভিভাবকদের অনেকেই স্কুলের ফি দেননি। এ দিন অভিভাবকদের জানানো হয়, যাঁদের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুল ফি মেটানো আছে তাঁরা শংসাপত্র নিয়ে নিন। কিন্তু যাঁদের ফি মেটানো নেই তাঁরা স্কুল ফি পরে মিটিয়ে দেবেন তেমন একটি দরখাস্ত দিন। তিনি বলেন, ‘‘দরখাস্ত দিতে বলাতেই অভিভাবকদের একাংশ বেঁকে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এমনকি, পড়ুয়াদেরও বিক্ষোভে যোগ দেওয়ানো হয়। ফি জমা নেওয়ার কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়।’’
স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে অচলাবস্থা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পুলিশ দু’পক্ষের সঙ্গেই কথা বলে। তবে ফি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এ দিন হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।