অণ্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে। নিজস্ব চিত্র।
লকডাউনের পরে, নিয়মিত উড়ান চালু হয়েছে অণ্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর থেকে। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, টার্মিনাল থেকে রানওয়ে পর্যন্ত এলাকায় কোনও ছাউনি নেই। তাই ঝড়-জল, রোদ মাথায় হেঁটে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, অণ্ডাল থেকে এখন একটি সংস্থা দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ রুটে এবং অন্য একটি সংস্থা মুম্বই, চেন্নাই রুটে নিয়মিত উড়ান চালায়। গড়ে প্রতিদিন ৮০০-র বেশি যাত্রী এই বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করছেন। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এই বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন। তিনি টার্মিনাল, রানওয়ে, এটিসি টাওয়ার, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। বেসরকারি বিমান সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে উড়ানের সংখ্যা বাড়ানো এবং নতুন রুটে উড়ান চালানোর প্রস্তাব দেন তিনি। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন-দিন যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। তাই শুরুতে সপ্তাহে তিন-চার দিন পরিষেবা চালু করেও কয়েকটি রুটে বিমানসংস্থাগুলিও সপ্তাহে সাত দিনই উড়ান চালাচ্ছে।
যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, টার্মিনাল থেকে বিমানের রানওয়ে পর্যন্ত এলাকায় ছাউনি নেই। এখানে এরোব্রিজ বা বাস পরিষেবা চালু নেই। ফলে, বৃষ্টি হলে বিমান ধরতে যাওয়া বা বিমান থেকে নামা, দু’ক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি হয়। গ্রীষ্মে চড়া রোদেও সমস্যা হয়। দুর্গাপুর থেকে মাঝেমধ্যেই মুম্বইয়ে যান রাজর্ষি ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এই বিমানবন্দরে সাধারণত টার্মিনালের কাছাকাছি এসে বিমান দাঁড়ায়। তবু মাঝের রাস্তাটা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই যাতায়াত করেন যাত্রীরা। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েন প্রবীণ নাগরিক ও শিশুরা।”
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু এখানে টার্মিনাল ভবনটি একতলা, তাই এরোব্রিজ চালু করার পরিস্থিতি নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় অণ্ডাল বিমানবন্দরকে দু’বছরের মধ্যে আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন। সে ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর উন্নয়ন হবে। তখন এরোব্রিজও তৈরি হবে। বিমানবন্দর পরিচালনায় যুক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, “টার্মিনাল থেকে বাস পরিষেবা না থাকার সমস্যা এখনই মেটার সম্ভাবনা নেই। কারণ, এখানে বাস চালাতে হলে, তা চালাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিমান সংস্থাগুলি।” যদিও বিমান সংস্থাগুলির সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে উড়ান ও যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়লে হয়তো তখন এই সমস্যার সমাধান হবে।