Demand Of Railgate

ইঞ্জিনের ধাক্কায় দুর্ঘটনা, দাবি রেলগেট তৈরির

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইঞ্জিন বা ওয়াগন যাতায়াতের সময় সূর্য সেন সরণি দিয়ে যাওয়া যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে। জায়গাটি পেরোনোর সময় স্বাভাবিক ভাবেই সাবধানে গাড়ি চালান চালকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:০৩
Share:

দুর্গাপুরে সূর্য সেন সরণির উপরে রয়েছে ডিএসপি থেকে এএসপি যাওয়ার রেললাইন। এখানেই রেলগেটের দাবি উঠেছে। নিজস্ব চিত্র jayantamosan@gmail.com

দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (ডিএসপি) থেকে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে (এএসপি) পণ্য পরিবহণের জন্য রয়েছে একটি রেললাইন। মায়াবাজারের কাছে সেই লাইন গিয়েছে সূর্য সেন সরণির উপর দিয়ে। মালগাড়ি বা ইঞ্জিন গেলে ‘সাউন্ড সিস্টেমে’ তা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু অনেক সময়েই নানা আওয়াজে তা শোনা যায় না। কোনও আলোর সিগন্যাল, রেলগেট নেই। সম্প্রতি একটি দুর্ঘটনার পরে সেখানে রেলগেট বা স্থায়ী সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করার দাবি উঠেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইঞ্জিন বা ওয়াগন যাতায়াতের সময় সূর্য সেন সরণি দিয়ে যাওয়া যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে। জায়গাটি পেরোনোর সময় স্বাভাবিক ভাবেই সাবধানে গাড়ি চালান চালকেরা। এ ছাড়া, স্থানীয়েরা জানান, মায়াবাজার থেকে এএসপি গেটের দিকে যাওয়ার অভিমুখে বাঁ দিকের জায়গাটি ডিএসপি-র পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ফলে, সেখানে যাতায়াতের সময়ে ইঞ্জিন বা ওয়াগন নজরে আসে না। তবে, খুব ধীর গতিতে হর্ন বাজাতে বাজাতে জায়গাটি পেরিয়ে যায় ইঞ্জিন বা ওয়াগন। তা সত্ত্বেও গত ৭ জানুয়ারি ডিএসপি থেকে এএসপির দিকে যাওয়া একটি ইঞ্জিনের ধাক্কায় উল্টে যায় একটি ডাম্পার।

১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের গান্ধী মোড় থেকে শুরু হয়ে স্টেশনগামী মায়াবাজার পর্যন্ত গিয়েছে সূর্য সেন সরণি। তাই এই রাস্তাটি ব্যবহার করলে, সবাইকেই রেললাইনটি পেরোতে হয়। গান্ধী মোড়ের অদূরে এএসপি। রেললাইনটি পেরিয়ে কিছুটা এগোলে ডিটিপিএস। রয়েছে বড় বাজার, স্কুল, ব্যাঙ্ক। ডিটিপিএস কলোনি, পুরষা, মায়াবাজার-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন সিটি সেন্টার, বেনাচিতি, ডিএসপি টাউনশিপ, হাসপাতাল, স্কুল-সহ শহরের নানা জায়গা যেতে সূর্য সেন সরণি ব্যবহার করেন। তাঁদের অনেকেই ওই ব্যস্ত
এলাকায় ক্রসিংয়ে রেলগেট তৈরির দাবি জানিয়েছেন।

Advertisement

মায়াবাজার এলাকা থেকে প্রতিদিন বেনাচিতি বাজারে যান দোকান কর্মী সুদেব দাস। তিনি বলেন, “গ্যামন ব্রিজ হয়ে গেলে বিসি রায় রোড হয়ে যেতে হবে। রাস্তাটি খুব ব্যস্ত। অনেকটা ঘুরপথও। তাই সূর্য সেন সরণি দিয়ে যাতায়াত করি। প্রতিদিন দু’দিক দেখে রেললাইনটি পেরোই। রেলগেট থাকলে নিশ্চিন্তে যাতায়াত করা যাবে।” এলাকাবাসী জানান, ইঞ্জিন বা ওয়াগন যাওয়ার সময় সাউন্ড সিস্টেমে সেটি ঘোষণা করা হয়। তবে সেই ঘোষণা গাড়ি ও অন্য আওয়াজে অনেক সময় স্পষ্ট শোনা
যায় না। তাই রেলগেট না হলেও আলোর স্থায়ী সিগন্যাল ব্যবস্থা তৈরি করা হলেও সুবিধা হবে। পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, “ওই এলাকায় রেলগেট
বা স্থায়ী সিগন্যাল থাকা দরকার। তা থাকলে, মানুষ নিশ্চিন্তে যাতায়াত করতে পারবেন।”

ডিএসপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কারখানার পরিসর বাড়ছে। সম্প্রসারণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওই লাইনে ওয়াগনের যাতায়াত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডিএসপির মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বেদবন্ধু রায় বলেন, “ভবিষ্যতে অবশ্যই কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করে প্রয়োজনীয়
পদক্ষেপ করবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement