kanksa

নদীর ভাঙন রুখতে কাজ শুরুর আর্জি

এলাকাবাসী জানান, কুনুরের জল এখন দোমড়ার দিকে ঘেঁষে যাওয়ার ফলে, পাড়ের দিকে থাকা জমিগুলি ভাঙনের মুখে পড়েছে। বেশ কিছু জমি এখন জলের তলায় চলে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২০ ০০:৫৩
Share:

দোমড়ার কাছে ভাঙনের কবলে কুনুর নদী। নিজস্ব চিত্র।

প্রতি বছর বর্ষায় কুনুর নদী ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ভাঙনের কবলে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা। সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাঁকসার সুন্দিয়ারা থেকে দোমড়ার কুনুর সেতুর দু’দিকে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা। এলাকাবাসীর দাবি, শীতের শুরু থেকেই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। তা না হলে, বহু চাষ জমি নদীগর্ভে চলে যাবে বলে আশঙ্কা তাঁদের।

Advertisement

কাঁকসার মলানদিঘি, বনকাটি, ত্রিলোকচন্দ্রপুর, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার চাষিরা চাষাবাদের জন্য কুনুরের উপরে নির্ভর করেন। চাষাবাদের সুবিধার জন্য নানা জায়গায় রয়েছে নদী সেচ প্রকল্প। কিন্তু বেশ কয়েকবছর ধরে কুনুরের পাড়ের একাংশ তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে। সুন্দিয়ারার বাসিন্দা অমিত পাল, তপন ঘোষেরা বলেন, ‘‘প্রতি বছর একটু-একটু করে এলাকা বিপন্ন হচ্ছে। ভাঙন রুখতে এ বার শীতের শুরু থেকেই প্রশাসন পদক্ষেপ না করলে, বিপত্তি বাড়বে।’’

এলাকাবাসী জানান, কুনুরের জল এখন দোমড়ার দিকে ঘেঁষে যাওয়ার ফলে, পাড়ের দিকে থাকা জমিগুলি ভাঙনের মুখে পড়েছে। বেশ কিছু জমি এখন জলের তলায় চলে গিয়েছে। দোমড়ার বুদন হাঁসদা, লক্ষ্মীরাম মুর্মুরা বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে, আমরা আর চাষ করার মতো জমিই পাব না।’’ অথচ, এই সব এলাকার বাসিন্দাদের রুটি-রুজি সবই নির্ভর করে চাষের উপরে। জমি না থাকায় ধীরে-ধীরে এলাকার অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।

Advertisement

বাসিন্দাদের প্রস্তাব, কুনুরের জলকে ধরে রেখে চেক-ড্যাম তৈরি করা হলে চাষের সুবিধা হবে। কুলডিহার মতো সর্বত্র নদীর পাড় বাঁধানোর দাবিও উঠেছে। বিডিও (কাঁকসা) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘নানা জায়গায় ইতিমধ্যে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেচ দফতরের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’’ সেচ দফতর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement