প্রতীকী ছবি।
গত দু’টি অর্থবর্ষে (২০১৯-২০২০ এবং ২০২০-২০২১) আসানসোল পুরসভার সম্পদ কর বাকি, প্রায় ১৫ কোটি টাকা। সম্প্রতি পুর-প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকে প্রয়োজনে ছাড় দিয়ে হলেও দ্রুত ওই টাকা বাজার থেকে তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
আসানসোলের পুর-প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, কোভিড পরিস্থিতির জেরে গত দুই অর্থবর্ষে বাসিন্দাদের থেকে আশানুরূপ সম্পদ কর আদায় করা যায়নি। অমরনাথবাবু বলেন, ‘‘প্রায় ১৫ কোটি টাকার সম্পদ কর পাওনা হয়েছে পুরসভার। এ পর্যন্ত নাগরিক পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু এই টাকা দ্রুত আদায় না করা গেলে নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আর মাস দু’য়েক পরে উৎসবের মরসুম। তার আগে উন্নয়ন ও নাগরিক পরিষেবামূলক কিছু কাজ করতে হবে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে পাওয়া তহবিলের পাশাপাশি, বকেয়া সম্পদ কর আদায় হলে সেই কাজগুলির গতি বাড়বে।
কিন্তু কী ভাবে হবে এই বকেয়া কর আদায়? পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ জন্য প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য পূর্ণশশী রায়ের নেতৃত্বে পুর-আধিকারিকদের একটি দল গঠন করা হয়েছে। আসানসোল পুরসভার ১০৬টি ওয়ার্ডকে ১০টি বরোতে ভাগ করা হয়েছে। আসানসোল, কুলটি, রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়ার জন্য চারটি বরো কার্যালয় বানানো হয়েছে। পূর্ণশশীবাবু জানান, প্রতিটি বরো ধরে সেগুলির অন্তর্গত ওয়ার্ডের যে সব বাসিন্দা সম্পদ কর বাকি রেখেছেন, তাঁদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রত্যেক বাসিন্দাকে পুরসভা বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদ কর জমা দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। এই কর জমা না দিলে আইনি ব্যবস্থার পথও খোলা রাখা হচ্ছে। তবে পুরসভার নির্ধারিত সম্পদ করের পরিমাণ বেশি মনে হলে, সংশ্লিষ্ট নাগরিক বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য পুরসভার কাছে আবেদনও জানাতে পারবেন।
পাশাপাশি, আসানসোলের পুর-কমিশনার নীতীন সিংহানিয়া জানান, গত বৃহস্পতিবার হওয়া ওই বৈঠকে পুরসভার স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কোভিড রুখতে বিশেষ টিকাকরণ কর্মসূচি আয়োজনের পাশাপাশি, বর্ষায় ডেঙ্গির মোকাবিলায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কাজে নামানো হবে। সেই সঙ্গে অতীতের কথা স্মরণে রেখে ‘ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকাগুলি’তে সাফাই, নিকাশি কী ভাবে চলছে, সে বিষয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালানো হচ্ছে।