‘আক্রান্ত’ দেবাঞ্জন। নিজস্ব চিত্র
‘দেশের বাড়ি’ বর্ধমান থেকে কলকাতা ফেরার পথে বিজেপি, এবিভিপি-র কর্মীদের হাতে বান্ধবী-সহ তিনি আক্রান্ত হয়েছেন, এমনই অভিযোগ করলেন দেবাঞ্জন বল্লভ। ঘটনাচক্রে, সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে ‘নিগ্রহের’ ঘটনায় সামনে এসেছিল দেবাঞ্জনের নাম।
কলকাতার সংস্কৃত কলেজের ভাষাবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র দেবাঞ্জন। প্রায় তিন বছর ধরে কলকাতায় রয়েছেন। বুধবার রাতে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানান তিনি। সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, তিনি ও তাঁর বান্ধবী এ দিন সন্ধ্যায় আলিশা বাসস্ট্যান্ড থেকে কলকাতায় ফেরার বাসে চেপেছিলেন। দেবাঞ্জনের অভিযোগ, ‘‘বাস ছাড়ার আগে ছ’-সাত জন এসে বাস থেকে টেনে নামিয়ে আমাদের উপরে হামলা চালায়। ঘুষি মারে। আমার জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, খানিক বাদে এক ‘নেতা’ এসে ‘বাবুল-নিগ্রহের’ প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘দেখে নেব তোকে’।
ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিজেপি, এবিভিপি, আরএসএস-এর লোকজনের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ করেছেন দেবাঞ্জন। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাদের যুব সংগঠনের বর্ধমান শহরের নেতা শুভম নিয়োগীর দাবি, ‘‘আমরা পুজো নিয়ে ব্যস্ত।’’ অভিযোগ মানেননি এবিভিপি-র পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি অনিরুদ্ধ বিশ্বাসও।
বাবুলকে ‘নিগ্রহের’ ঘটনায় দেবাঞ্জনের নাম সংবাদমাধ্যম ও ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় ছড়িয়ে পড়ার পরে, পরিবার তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। তবে বাবুল ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় দেবাঞ্জনের ক্যানসার আক্রান্ত মাকে আশ্বস্ত করেন, ‘‘চিন্তা করবেন না মাসিমা। আমি কোনও ক্ষতি করব না আপনার ছেলের।’’ এ দিন বাবুল অবশ্য বলেন, ‘‘রাস্তায় কে কাকে কী করল, সে নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। হতে পারে ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়ে এবিভিপি-কে দোষারোপ করা হচ্ছে।’’