আসানসোলে উদ্ধার হল এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ। প্রতীকী ছবি।
আসানসোলে একটি মাঠ থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি এখনও। অঞ্জাত পরিচয় মৃত যুবকের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে সালারপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে আসানসোলের সালানপুর থানার মহিষ মুড়ার কাছে একটি মাঠে এক যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। তাঁরাই সালানপুর থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। এ দিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত করা হয়। সেই ময়নাতদন্তে যুবকটির শরীর থেকে তিনটি গুলি বেরিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একটি গুলি মাথা থেকে এবং বাকি দু’টির মধ্যে একটি গুলি ডান গালে ও অন্যটি পিঠের ডান দিক থেকে পাওয়া গিয়েছে। যুবকের শরীরের আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। সেগুলি গুলির দাগ হতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। মনে করা হচ্ছে, কমপক্ষে ১৫ দিন আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে সালানপুরের মাঠে এই মৃতদেহ কে বা কারা ফেলে রেখে গেল, তা জানা যায় নি। পুলিশের অনুমান, অন্য কোনও জায়গায় ঐ যুবককে খুন করা হয়েছে। তারপর রাতের অন্ধকারে এই এলাকায় গুলিবিদ্ধ দেহ ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে।
আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (পশ্চিম) অভিষেক মুদি বলেন, “একটি যুবকের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। যুবকের নাম ও পরিচয় জানা যায় নি এখনও পর্যন্ত। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আসানসোল শহরে জিটি রোডের ভগৎ সিং মোড়ের অদূরে সেনরেল রোডে একটি হোটেলের মধ্যে ঢুকে পড়ে সশস্ত্র দূষ্কৃতীরা। হোটেলের লবিতে বসে থাকা মালিক অরবিন্দ ভগৎকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশ ও সিআইডি কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এরপর গত এপ্রিল মাসে আসানসোলের জামুড়িয়ায় দু’টি গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটে। প্রথমে গুলি করে ট্রাকের কেবিনে খুন করা হয় চালক বীরেন্দ্র গুপ্তকে। পরে একটি এসইউভি গাড়ির চালকের আসনে বসে থাকা বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সাউকে দিনেদুপুরে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। দু’টি মৃতদেহ ১৯ নং জাতীয় সড়কে পাওয়া যায়। এই দু’টি ঘটনায় পুলিশ একজন করে মোট দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। শিল্পাঞ্চলে পরপর ঘটে যাওয়া এই ধরনের খুনের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত বাসিন্দারা।