বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে কর্নাটকের জেলে বন্দি জামালপুরের বাসিন্দা পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী-পুত্র। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে দাদা-বৌদি এবং ছোট ভাইপো ভিন্ রাজ্যের জেলে বন্দি। ছেলে, বৌমা এবং নাতিকে ছাড়িয়ে আনার অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। বেঙ্গালুরুতেই মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধ পঙ্কজ অধিকারীর। আনন্দবাজার অনলাইনে এই প্রতিবেদনটি চোখে পড়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। এর পর বহরমপুরের সাংসদ নিজে উদ্যোগী হয়েছেন পলাশ অধিকারী, শম্পা অধিকারী এবং তাঁদের একমাত্র সন্তানকে ফিরিয়ে আনার। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছে অধীরের দফতর। এতে আশায় বুক বেঁধেছেন সদ্য পিতৃহারা পলাশের দুই বোন। মঙ্গলবার বাবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সেরেছেন তাঁর দুই মেয়ে সাথী এবং শম্পা। বুধবার দুই বোন বলেন,‘‘আমরা অসহায়। গত জুলাই মাসে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে বেঙ্গালুরুতে অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছে দাদা-বৌদি। ওদের দেড় বছরের শিশুপুত্রও ছাড় পায়নি।’’ হুগলির বৈঁচিগ্রামের বাসিন্দা পলাশের এক ভগ্নিপতি সুজন হালদার। তিনি বলেন, ‘‘আমিও বেঙ্গালুরু গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও ভাবেই ওদের ছাড়িয়ে আনতে পারিনি।’’ তাঁর অভিযোগ, যে আইনজীবীকে নিযুক্ত করেছিলেন, তাঁর কাছ থেকেও আশানুরূপ সহযোগিতা পাননি।
পলাশ, তাঁর স্ত্রীর গ্রেফতারি এবং পঙ্কজের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ জামালপুরের তেলে গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয়দের কথায়, ‘‘ওরা এখানকারই ভোটার। তার পরেও বেঙ্গালুরু পুলিশ কোন যুক্তিতে পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে গ্রেফতার করল সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না।’’ জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কৃষ্ণা সরকারও বলেন, ‘‘পলাশ ও তাঁর পরিবারের সবাই তেলে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। এখানকারই ভোটার।’’ অন্য দিকে জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝি বলেন, ‘‘আমরা আমাদের মতো অনেক কিছু করেছি। কিন্তু আইনের বিষয়ে তো আমরা কিছু করতে পারি না।’’