Kalna Weather

ঘন কুয়াশায় ক্ষতি চাষে, থমকে ফেরি

এলাকার বাসিন্দারা জানান, শনিবার রাত থেকে পাঁচ ফুট দূরের কোনও জিনিসও দেখা যাচ্ছিল না। রাস্তার বাতিস্তম্ভ থেকেও আলো আসছিল ঝাপসা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:২০
Share:

বেলা ১০টার পরে ফেরি চলাচল শুরু কালনায়। নিজস্ব চিত্র

রাত থেকে কুয়াশা জমছিল। রবিবার সকাল ১০টাতেও কুয়াশা কাটেনি জেলার অনেক জায়গায়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় গাড়ি কম দেখা যায়। ট্রেন চলাচলে দেরি হয়। বিপদের আশঙ্কায় সকাল ১০টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল কালনা এবং নদিয়ার নৃসিংহপুর ঘাটের মধ্যে যাত্রিবাহী লঞ্চ এবং পণ্যবাহী ভেসেল পরিষেবা। ঘন কুয়াশাও চাষেও মুশকিল হতে পারে, জানিয়েছে কৃষি দফতর।

Advertisement

এলাকার বাসিন্দারা জানান, শনিবার রাত থেকে পাঁচ ফুট দূরের কোনও জিনিসও দেখা যাচ্ছিল না। রাস্তার বাতিস্তম্ভ থেকেও আলো আসছিল ঝাপসা। ফলে এসটিকেকে রোড, কালনা-গুরাপ, কালনা-বর্ধমানের মতো বেশ কিছু রুটে যানবাহন চলাচল কমে যায়। চালকেরা জানান, গাড়ি চালালেও গতি বাড়ানোর উপায় ছিল না। রবিবার ভোর থেকে আরও জমাট হয় কুয়াশা। নদীপথে বিপদ ঘটার আশঙ্কায় সকাল থেকে লঞ্চে যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখা হয়। ১০টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যাতায়াত শুরু হয়। ততক্ষণে প্রচুর যাত্রীদের ভিড় জমে যায় কালনা খেয়াঘাটে। ভেসেল পরিষেবা ব্যহত হওয়ায় আনাজ, ফুল, দুধ পৌঁছতে দেরি হয়ে যায় বিভিন্ন বাজারে।

কৃষকেরা জানান, কুয়াশার কারণে প্রায় ঘণ্টা চারেক পরে চাষের কাজ শুরু করেন খেতমজুরেরা। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের সরডাঙা গ্রামের চাষি বাবলু বিশ্বাস জানান, কুয়াশার কারণে ফল, আনাজ তোলার কাজে সকাল থেকে কোনও খেতমজুরকে লাগানো যায় নি। সম্প্রতি সিম, মটরশুঁটি, সর্ষে জমিতে কিছু কিছু জায়গায় ধসা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ রকম আবহাওয়া চলতে থাকলে ধসা মারাত্মক আকার নেবে, আশঙ্কা তাঁদের। চাষিদের জানান, একেই এ বার আনাজের দাম তলানিতে। তার উপরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলন কমে গেলে আরও ক্ষতি হবে। চাষি বাবলু বিশ্বাস বলেন, ‘‘কুয়াশার দাপট যে ভাবে বাড়ছে তাতে আলুতেও নাবিধসা রোগ ছড়াতে পারে।’’ একই আশঙ্কা করছে কৃষি দফতরও।

Advertisement

জেলার এক সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে চাষিদের নিয়মিত জমি পরিদর্শন করে গাছ পর্যবেক্ষণ, জমিতে নিয়ন্ত্রিত সেচ, নাইট্রোজেন সারের ব্যবহার কম করা, অনুখাদ্য ব্যবহার না করা এবং প্রতিষেধক হিসাবে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করার পরামর্শ দেব।’’ রোগহীন আলু গাছের ক্ষেত্রে কপার অক্সিক্লোরাইড, ম্যানকোজেব, কপার হাইড্রক্সাইড, মেটিরাম, প্রপিনেব জাতীয় ওষুধ জলে গুলে ছড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। আর আক্রান্ত গাছে ছড়াতে হবে সাইমক্সানিল, ফেনামিডন, ক্লোরোথ্যালোনিল, অ্যাজোক্সিস্ট্রবিন, পাইরাক্লোস্ট্রবিন, মেটাল্যাক্সিল জাতীয় ওষুধ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement