জমি থেকে কাটা ধান মাথায় নিয়ে বাড়ির পথে। কাটোয়ায়। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘূর্ণিঝড় আমপানের আছড়ে পড়ায় আশঙ্কায় প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। পূর্ব বর্ধমানের প্রতিটি ব্লক ও মহকুমাশাসকের দফতরে ২৪ ঘণ্টার ‘কন্ট্রোল রুম’ খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে জেলায় কন্ট্রোল রুম (০৩৪২-২৬৬৫০৯২) খোলা হয়েছে। জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছেন, প্রশাসনিক স্তরের সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জেলার থানাগুলিকেও এলাকায় নজর দিতে বলা হয়েছে।
এ দিন জেলা পরিষদ সভাধিপতি ও কর্মাধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। আমপানের দাপটে কী-কী ক্ষতি হতে পারে তার সম্যক ধারণা দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ধান কাটার হাল জানতে চান। তাঁকে জানানো হয়েছে, জেলায় প্রায় ৭০ শতাংশ জমিতে ধান কাটা হয়ে গিয়েছে। বৈঠক শেষে স্বপনবাবু বলেন, “কৃষি কর্মাধ্যক্ষকে এলাকা ঘুরে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তৈরি করতে হবে। চাষিদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে ওই হিসাব মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টার হাতে তুলে দেব। এ ছাড়া, জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বর্ধমানে আজ, বুধবার বিকেল থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোথাও মাঝারি মানের বৃষ্টিপাত, কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে কালো মেঘ। ভাগীরথীতে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ‘কন্ট্রোল রুম’ সব সময়ে খোলা থাকবে। কী করতে হবে তার নির্দেশিকা ব্লক স্তর পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেক জায়গাতেই পর্যাপ্ত ত্রিপল, পোশাক-সহ ত্রাণ মজুত করা রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ডুবুরিদের সজাগ থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, ‘সিভিল ডিফেন্সে’-এর প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদেরও তৈরি থাকার কথা বলা হয়েছে।