Kalna

Crocodile kalna: জলে কুমির ডাঙায় আতঙ্ক

মালতিপুরের সন্দীপ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘এই সময় নদীতে পাট জাঁক দেওয়ার কাজ হয়। কুমিরের ভয়ে নদীতে নামতে চাইছেন না চাষিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২২ ০৭:৪০
Share:

এই কুমির দেখা যাচ্ছে। নিজস্ব চিত্র

পাটে জাঁক দিতে জলে নামতে চাইছেন না চাষিরা। স্নান করতে নদীতে নামতে বুক ধুকপুক করছে। এলাকাবাসীর দাবি, মাঝেমধ্যেই খড়ি নদীতে উঁকি মারছে ফুট ছ’য়েকের এক কুমির। এর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে কালনা ১ ব্লকের খড়ি নদী পাড় সংলগ্ন প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে দাবি, গত প্রায় ১০ দিন ধরে নদীতে ঘোরাফেরা করছে কুমিরটি। কখনও তাকে দেখা যাচ্ছে মালতিপুর, হাতিপোতা, মানিকনগর এলাকায় নদীর ধারে। কখনও ভেসে উঠছে মাঝ নদীতে। কুমিরের ছবি তুলতে ঘাটে ভিড় হচ্ছে।

মালতিপুরের সন্দীপ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘এই সময় নদীতে পাট জাঁক দেওয়ার কাজ হয়। কুমিরের ভয়ে নদীতে নামতে চাইছেন না চাষিরা। বন দফতর কুমিরটি অন্যত্র সরিয়ে না নিয়ে গেলে আতঙ্ক কাটবে না।’’ নান্দাই পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ইদের আলি মোল্লা বলেন, ‘‘কুমিরের আতঙ্কে অনেকেই স্নান করতে নামছেন না নদীতে। যে ভাবে কুমিরটি নদীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তাতে বিপদ ঘটে যেতে পারে।’’ ওই এলাকার স্কুলছাত্রী নাজমা খাতুনের বক্তব্য, ‘‘মাঝেমধ্যেই নদীর ঘাটে যাচ্ছি। কুমিরটিকে দেখতে পেলেই ছবি তুলে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করছি।’’

Advertisement

বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দফতরের কর্মীরা কুমিরটিকে দেখার জন্য ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা দেয়নি সে। দফতরের রেঞ্জ আধিকারিক (কাটোয়া) শিবপ্রসাদ সিংহর জানান, বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করা হচ্ছে। দফতরের আর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এই ধরনের কুমির সাধারণত শান্ত প্রকৃতির হয়। ওর যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তা দেখার জন্য জলপথেনজরদারি চলছে।’’

আট মাস আগে, পূর্বস্থলী থেকে কালনা পর্যন্ত ভাগীরথীর বিভিন্ন ঘাটে আনাগোনা করতে দেখা গিয়েছিল একটি কুমিরকে। পরে, হুগলি জেলার দিকে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement