প্রতীকী ছবি।
প্রতিটি বুথে ‘টিম’ গড়ার কথা বার বার বলেও হয়নি। যেখানে বুথ টিম রয়েছে, সেগুলি সক্রিয় করার ব্যাপারেও দুর্বলতা থাকছে। নতুনদের দলে অন্তর্ভুক্ত করাতেও নেতৃত্বের যথেষ্ট মনোযোগ নেই বলে মেনে নেওয়া হয়েছে সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সম্মেলনের প্রতিবেদনে।
শনি ও রবিবার শহরের টাউন হলে ওই সম্মেলন হয়। তারই ৯৩ পাতার রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক রিপোর্টে সংগঠনের ‘দুর্বলতার’ কথা উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনের ৬৯ পাতায় ‘বুথ টিম’ অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে, ‘বুথ টিম গড়ে তোলা নিয়ে জেলাস্তর থেকে এরিয়া কমিটিতে বার বার আলোচনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সবার মধ্যে এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা গড়ে তুলতে পেরেছি বলে মনে হয় না’। জানানো হয়েছে, জেলায় মোট বুথের (৫৬৪১টি) মধ্যে ১৬৬১টিতে বুথ টিম গড়া গেলেও সব ক্ষেত্রে তা সক্রিয় ও সচল রাখার ক্ষেত্রে ‘দুর্বলতা’ রয়েছে। ‘বিধানসভা নির্বাচন’ অনুচ্ছেদেও বলা হয়েছে, ‘কম-বেশি ৬০ শতাংশ বুথ টিম সক্রিয় ছিল বলা যায়’। বুথ টিম শুধুমাত্র নির্বাচনের লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে, এমন ধারণা ছেড়ে সংগঠনের সর্বনিম্ন স্তর হিসাবে কাজ করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নতুন সদস্য বেড়েছে। ২০২০ সালে নতুন সদস্য হয়েছিল ৬০০ জন। সেখানে ২০২১ সালে নতুন সদস্য হয়েছেন ২৯২ জন। এই বছর ছ’টি এরিয়া কমিটি থেকে একজনও নতুন সদস্য হননি। নতুনদের দলে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের অবহেলা বা অন্যমনস্কতা কাজ করছে কি না, তা পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। নতুনদের প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ ও পরিচর্যার অভাব আছে কি না, তা ভেবে দেখার কথাও বলা হয়েছে। এ ছাড়াও এরিয়া কমিটিতে দু’জন মহিলা ও ৩১ বছরের নীচে একজনকে রাখা বাধ্যতামূলক হওয়ায় অনেক এলাকায় তা গঠন করা যায়নি বলেও জানা গিয়েছে। ‘বিধানসভা নির্বাচন’ অনুচ্ছেদে আরও বলা হয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে সংযুক্ত মোর্চা ৯.৯৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এই ফল সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না। এই নির্বাচনে বয়স্ক ও অসুস্থদের বাদ দিয়েও ২০ শতাংশ সদস্য নিষ্ক্রিয় ছিল বলেও সমালোচনা করা হয়েছে
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘‘পরিবেশ-পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। গণ -আন্দোলনের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। যুবকদের জেলা কমিটিতে এনে নতুনদের আগলে রাখার দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।’’