রানিগঞ্জের আলিনগরে পুকুর বুজিয়ে নির্মাণের নালিশ। নিজস্ব চিত্র।
এলাকার নানা প্রান্তে অবাধে চলছে পুকুর ভরাট। সম্প্রতি আসানসোল পুরসভার কমিশনার নীতীন সিঙ্ঘানিয়া, পুর-প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন ৮৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী সিপিএম কাউন্সিলর আরজি জালিস। একই অভিযোগ রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্তেরও।
আরজি জালিসের অভিযোগ, ৮৯, ৯০ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানা থাকা রাজারবাঁধের একাংশ ভরাট করে জমি বিক্রি করা হচ্ছে। সেখানে বাড়ি তৈরির কাজও চলছে। তিনি বলেন, ‘‘২০১৭, ২০১৮-য় পুরসভায় বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু এখন অন্তত ২৫ শতাংস ভরাট হয়ে গিয়েছে। আগে এই জলাশয়ে মাছ চাষ হত। পরিযায়ী পাখিরা আসত। এখন সে সব আসছে না।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৭ নম্বর বোর্ড-বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, এই জলাশয়ের যে সমস্ত অংশে জল নেই, সেখানে বিক্রির সম্ভবনা আছে। ওই এলাকাটি বাঁশের বেড়া দেওয়া হবে। পুকুরের সৌন্দর্যায়নও করা হবে। বিদায়ী সিপিএম কাউন্সিলরের অভিযোগ, ‘‘ভরাট-এলাকা বেড়েই চলেছে। গোটা ঘটনায় তৃণমূল যুক্ত।’’
পাশাপাশি, রানিগঞ্জের হাসিনা মোড়ে চোয়ান্নিতলাব পুকুরের পাড়ের একাংশের মাটি কেটে, ভরাট করা হয়েছে। রানিগঞ্জে নেতাজি সুভাষ রোডের ধারে একটি নার্সিংহোমের পিছনে থাকা পুকুরের একাংশ, বুজিয়ে বাড়ি তৈরির জন্য প্লট ভাগ করে বিক্রি করছে জমি-মাফিয়ারা, এমনই অভিযোগ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দাদের একাংশের। পাশাপাশি, রানিগঞ্জের রামবাগানের নেপালিপুকুর, ঘোষপুকুর, পূর্ব কলেজপাড়ার দেবুপুকুর, সিহারসোল গ্রামের শৌলা, হরিঘোষ, মাজিপুকুর-সহ ২৫টিরও বেশি পুকুর ইতিমধ্যেই অনেকটা ভরাট হয়েছে বলে অভিযোগ। কুমোরবাজারে বামঘোষ পুকুর, লায়েকবাঁধ-সহ কয়েকটি পুকুর নিয়েও একই অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্তও। তিনি বলেন, ‘‘নানা প্রান্তে পুকুর ভরাট করছে শাসকদল। কিছু ক্ষেত্রে বিএলএলআরও বহু বার অভিযোগ করেছেন। লাভ হয়নি।”
তবে পুর-প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের আশ্বাস, ‘‘পুকুর ভরাট নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’