Adhar Card

দালাল-রাজ আধারে, নালিশ জামুড়িয়ার বাম বিধায়কের

জামুড়িয়ায় কোনও আধার কার্ড পরিষেবা কেন্দ্র নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট চালু, গ্যাসের সংযোগ, পড়ুয়াদের স্কলারশিপ পাওয়া-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জরুরি আধার কার্ড। কিন্তু জামুড়িয়ায় কোনও আধার কার্ড পরিষেবা কেন্দ্র নেই। এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসী সমস্যার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি, কার্ড করিয়ে দেওয়ার নাম করে দালাল-রাজ তৈরির অভিযোগ করেছেন জামুড়িয়ার সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খান।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামুড়িয়া বিধানসভা এলাকার বাসিন্দাদের আধার কার্ডের জন্য আসানসোল যেতে হচ্ছে। আসানসোলে প্রধান ডাকঘর ও কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় আধার কার্ড তৈরি করা হয়। কিন্তু প্রতিটি কেন্দ্রে দৈনিক সংশোধন ও নতুন কার্ড ৪০টির বেশি হয় না বলে অভিযোগ জামুড়িয়ার বাসিন্দাদের। বাঁকশিমুলিয়ার গৌতম হাড়ি জানান, তাঁর স্ত্রীর আধার কার্ড না থাকায় ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করাতে পারছিলেন না। তিনি জানান, আসানসোলে গিয়ে একাধিকবার লাইনে দাঁড়িয়েও কার্ড তৈরি করতে পারেননি। তাঁর দাবি, ‘‘আসানসোলে একজনকে টাকা দিয়ে আমার হয়ে অনেক আগে থেকে লাইনে দাঁড়াতে বলেছিলাম। শেষমেশ পেয়েছি কার্ড।’’

জামুড়িয়ার সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খানের অভিযোগ, ‘‘লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ড পাইয়ে দেওয়ার নামে অসাধু দালাল চক্র গড়ে উঠেছে। এর ফলে, প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে টাকা দিয়ে কার্ড করাতে অসুবিধা হচ্ছে।” একই কথা জানান পরিহারপুর গ্রামের গেদু বাউড়ি। তিনি জানান, বিধবা ভাতা অনুমোদন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, আধার কার্ড না থাকায় টাকা পাচ্ছিলেন না। তাঁর দাবি, আসানসোলে একজনকে পাঁচশো টাকা দিয়ে তার পরে পেয়েছেন কার্ড। রাখাকুড়িয়া গ্রামের রোহিম মণ্ডল, চুরুলিয়া গ্রামের রাম দত্ত, বিগুলি গ্রামের মানসী সোরেনদেরও অভিযোগ, কার্ড সংশোধনের জন্য বারবার লাইনে দাঁড়িয়েও ফিরে আসতে হয়েছে। বেনালির বাসিন্দা বিশাল বেনিয়া জানান, বেশ কয়েক বছর আগে সরকারি উদ্যোগে এলাকায় শিবির করে কার্ড দেওয়ার সময়ে তিনি কার্ডের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু এ যাবৎ কার্ড হাতে পাননি। এই পরিস্থিতিতে নানা প্রকল্প থেকে তাঁর নাম বাতিল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

জামুড়িয়ার সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খান ও আসানসোল পুরসভার সিপিএম-এর বিদায়ী বিরোধী দলনেতা তাপস কবি জানান, তাঁরা দু’জনেই বেশ কয়েকবার জেলা প্রশাসনের কাছে জামুড়িয়ার পুর ও পঞ্চায়েত এলাকায় পৃথক ভাবে প্রয়োজনে ডাকঘরগুলিতে আধার কার্ড পরিষেবা কেন্দ্র তৈরির আর্জি জানিয়েছেন। ঘটনাচক্রে, এর আগে জেলার প্রতিটি পঞ্চায়েত ও প্রতিটি ওয়ার্ডে আধার কার্ড পরিষেবা কেন্দ্র চালু করার দাবিতে জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজির কাছে ই-মেল পাঠিয়েছিলেন রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্তও। সেই সময়ে তিনিও অভিযোগ করেছিলেন, আধার কার্ড পাইয়ে দেওয়ার নামে নানা এলাকায় দালাল-উৎপাতওদেখা যাচ্ছে।

জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি অবশ্য বলেন, ‘‘আধার সংক্রান্ত দাবি ও অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement