—প্রতীকী চিত্র।
‘‘খাইরুল লো তোর লম্বা মাথার চুল/ জোড়া ফুলে ভোট দিয়ে করলাম সবাই ভুল/ চাষি ফসলের দাম না পেয়ে কেঁদে হয় আকুল/ খাইরুল লো তোর লম্বা মাথার চুল।’’
পঞ্চায়েতের ভোট প্রচারের বিষয়কে লোকগানের সুরে বেঁধে মাঠে নামতে চলেছে সিপিএম। বাড়ি-বাড়ি প্রচার, মিছিল, দেওয়াল লিখন তো থাকবেই তার সঙ্গে লোকশিল্পীদেরও প্রচারে নামানোর পরিকল্পনা হয়েছে। দলের নেতাদের দাবি, বেশ কয়েক জন লোকশিল্পীর সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে। তাঁরা প্রচারের বিষয় নিয়ে গানও বেঁধে ফেলেছেন। গ্রামেগঞ্জে বাউল, কবি গান, ভাটিয়ালি, টুসু, ভাদু, ঝুমুরের মতো লোকগান এখনও জনপ্রিয়। গানের কথায় লোকায়ত ভাষার ব্যবহার, মেঠো সুর যে লোক টানবে, তা মনে করছে সিপিএম। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের সুলুন্টুর একটি প্রেক্ষাগৃহে মহড়াও হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী লোকশিল্পী সঙ্ঘের পূর্বস্থলী জোনাল কমিটির উদ্যোগে। কী ভাবে গ্রামেগঞ্জে পৌঁছে সাধারণ মানুষের কাছে লোকগানের মাধ্যমে নানা বিষয় তুলে ধরতে হবে, তা শিল্পীদের জানানো হয়েছে। একতারা, আরও বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে বারোয়ারিতলা, পুজো মণ্ডপ, আটচালায় গান গাইবেন তাঁরা। গান শুনলে শাসক দলের দুর্নীতি, বাম আমলের সাফল্যের খতিয়ানও পৌঁছবে তাঁদের কাছে, দাবি স্থানীয় নেতাদের।
এই প্রসঙ্গে পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা প্রদীপ সাহার দাবি, ‘‘রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে কী ভাবে কাটমানি নেওয়া হয়, কী ভাবে বেকার ছেলেমেয়েদের শিক্ষা ক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হয়েছে, পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় কী ভাবে দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে সবই গানে বলা হবে। এর পাশাপাশি, বাম আমলের সাফল্যও জানানো হবে গানেই।’’ প্রায় ৪২ জন লোকশিল্পী গান বাঁধছেন নুরুল ইসলাম, রহমান শেখরা জানান, দলকে ভালবেসে প্রচারের জন্য তৈরি হচ্ছেন তাঁরা। গায়ক নুরুল এই প্রসঙেগে বলেন, ‘‘ভোট দিতে নাইকো ভয়, আনন্দে ভোট দিতে যাই, নিজের ভোট নিজে দেব, গান গেয়ে তাই আমরা জানাই। এরকম অজস্র গান লেখা এবং সুর করা চলছে। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে প্রচার করব।’’ তৃণমূল নেতা দেবু টুডুর দাবি, ‘‘ওদের থেকে কয়েক গুণ বেশি লোকশিল্পী রয়েছেন আমাদের। তাঁরা সরকারের উন্নয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন।’’