আসানসোলের কয়লা খনি। — ফাইল চিত্র।
শিল্পাঞ্চলে এসে কয়লা, গরু-সহ নানা কিছু পাচারের অভিযোগে সরব হলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। প্রয়াত সিপিএম নেতা বামাপদ মুখোপাধ্যায় ও গৌতম রায়চৌধুরীর স্মরণে বুধবার আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে একটি কর্মিসভা আয়োজিত হয়। সেখানেই যোগ দেন বিমান। সিপিএম নেতৃত্ব জানান, বিমান শুরু থেকেই পাচার নিয়ে নাম না করে তৃণমূলের আমলকে বিঁধেছেন। যদিও বিমানের তোলা অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল।
এ দিন বিমানের অভিযোগ, “এই শিল্পাঞ্চলে কালো হিরের রমরমা। কী লাভ হচ্ছে এতে? ২০১১-র পরে কয়লা, গরু, পাথর, বালি পাচারের কথা শুনছি। সবই পাচার হচ্ছে। এই পাচারের সঙ্গে যুক্ত রাজনীতির মানুষেরা।” তবে পরক্ষণেই তাঁর বক্তব্য, “এ সবের বিরুদ্ধে মানুষের স্বর নেই। এত কিছু দেখানো হচ্ছে। তার পরেও হেলদোল নেই।” এই পরিস্থিতিতে বিমান উপস্থিত নেতা, কর্মীদের কাছে আবেদন করেন, “বামাপদ, চন্দ্রশেখর মুখোপাধ্যায়েরা এ সবের বিরুদ্ধে যে ভাবে প্রতিবাদ, আন্দোলন করেছিলেন, আগামী প্রজন্মকে সে পথেই এগোতে হবে।” বিমানের বক্তব্যের পরে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আমাদের নেতা তৃণমূলের আমলে যে পাচার চলছে, তা-ই বলেছেন। আমাদের কোন পথে এগোতে হবে, সে সম্পর্কেও দিক নির্দেশ করেছেন।”
গত কয়েক বছর ধরেই কয়লা পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে লাগাতার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম বর্ধমানে। বার বার অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে কয়লা পাচার-কাণ্ডে চার্জশিটও জমা দিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি, গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি এই মুহূর্তে আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারেরয়েছেন।
যদিও বিমানের তোলা অভিযোগে আমল দিচ্ছেন না তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন। তাঁর কথায়, “পাচার-সংস্কৃতি বাম আমলেই শুরু হয়। আমাদের সরকার এটা বন্ধে উদ্যোগী। বাম আমলে কোনও কয়লা মাফিয়া গ্রেফতার হতেন না। এখন তা পর পর হচ্ছে। ফলে, সিপিএম নেতা ভিত্তিহীন কী বলে গেলেন, তা নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যথা নেই।”