ইডির ডাকে অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগলকে দিল্লিই যেতে হচ্ছে। —ফাইল চিত্র।
ইডি দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া সহগল হোসেনকে। শুক্রবার আদালতের অনুমতি মিলতেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষীকে দিল্লি পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, দুপুর ৩টে নাগাদ সহগলকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বের করা হবে। আসানসোল স্টেশন থেকে তাঁকে নিয়ে দিল্লি যাবে পুলিশ। তবে সিআরপিএফ নয়, মোট ৮ পুলিশ কর্মীর নিরাপত্তা বলয়ে জালিয়ানওয়ালাবাগ সুপারফাস্ট ট্রেনে উঠবেন সহগল।
গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত সহগল প্রায় চার মাস আসানসোলের সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন। সিবিআইয়ের হাতে ধৃত অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষীকে তদন্তের স্বার্থে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। শুক্রবার সহগলের আবেদন সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হওয়ার পর আসানসোল জেলে তৎরপরতা তুঙ্গে।
ইডির মামলায় সহগলকে দিল্লি পাঠাতে আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ সাহায্য নিয়েছেন আসানসোল পুলিশের। দিল্লি পৌঁছলে সহগলকে ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। তবে প্রয়োজন হলে আরও ৭ দিনের হেফাজতে চাওয়া হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর।
এর আগে গরু পাচার মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত এনামুল হক এবং বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে দিল্লিতেই। এখন তাঁরা রয়েছেন তিহাড় জেলে। অন্য দিকে, অনুব্রতের অনেক আগে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে গরু পাচার মামলা তথা অনুব্রতের সম্পর্কে বহু তথ্য পেয়েছে সিবিআই। তৃণমূল নেতা এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির খোঁজ চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সহগলকে জেরা করে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে ইডি। সূত্রের খবর, তাঁর বয়ানের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনে অনুব্রতকেও দিল্লি নিয়ে যেতে চাইবে ইডি।