বাসের অপেক্ষায়। দুর্গাপুর বাসস্ট্যান্ডে। নিজস্ব চিত্র
‘লকডাউন’ শিথিল হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় পর্যাপ্ত বাস নেই। ফলে, মূলত দূরের যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দ্রুত আরও সরকারি বাস রাস্তায় নামানোর দাবি জানিয়েছেন দুর্গাপুরে দিয়ে আসা-যাওয়া করা দূরের যাত্রীরা।
দুর্গাপুরের স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড। সকাল ১১টা। মুর্শিদাবাদের লালগোলা রুটের বাসের অপেক্ষায় শেখ ইরসাদ। তিনি জানালেন, বাঁকুড়া থেকে আসছেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (এসবিএসটিসি) কার্যালয়ে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানলেন, দুপুর সওয়া ২টো লালগোলার বাস ছাড়বে। তিনি বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত সংখ্যক বাস না থাকায় আমার মতো অনেকেরই অসুবিধা হচ্ছে। তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। তার পরে, বাস আসবে।’’
সকাল সাড়ে ১১টা। রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে দুর্গাপুর স্টেশনে সপরিবার নেমেছেন বীরভূমের সিউড়ির এক বাসিন্দা। তিনি জানান, এসবিএসটিসি কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, সিউড়ি রুটের বাস ছাড়বে দুপুর দেড়টা নাগাদ। ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘গরমে স্ত্রী ও সন্তান কষ্ট পাচ্ছে। অথচ কিছু করার নেই।’’ সিউড়ি যাবেন বলে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলেন সনাতন গড়াই। তিনিও বলেন, ‘‘আরও বাস দরকার। অনেকেই বাইরে বেরোচ্ছেন।’’
এ ভাবেই দূরপাল্লার যাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন প্রতিদিন। দুর্গাপুর থেকে কলকাতা ছাড়া, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বাস চালায় এসবিএসটিসি। ‘লকডাউন’-এর জেরে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে সম্প্রতি ফের তা চালু হয়েছে। কিন্তু যাত্রীরা জানান, সব রুটে এখনও বাস চলছে না। যে রুটে বাস চলছে, তা-ও সংখ্যায় কম। বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু হয়নি। ফলে, এসবিএসটিসি-র বাসই ভরসা।
তবে এসবিএসটিসি সূত্রের দাবি, যাত্রী-সংখ্যা এখনও যথেষ্ট নয়। তাই এখনই আগের মতো সব বাস রাস্তায় নামানো সম্ভব নয়। তা ছাড়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসের কর্মীদের জন্য বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করতে হচ্ছে। সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, ধাপে-ধাপে বিভিন্ন রুটে বাস চালু করার প্রক্রিয়া চলছে।’’