প্রতীকী ছবি।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন মিনিবাস চালানোর আর্জি জানিয়েছে। কিন্তু মিনিবাস মালিকদের একাংশের দাবি, পুরনো ভাড়ায় বাস চালিয়ে তাঁদের পোষাবে না। ফলে, বাস চালাতে হলে সরকারের কাছে কিছু বিষয়ে সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। সব ঠিক থাকলে, আগামী ১ জুন থেকে মিনিবাস পরিষেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মিনিবাস মালিকেরা।
সম্প্রতি রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বাসের ভাড়া এই মুহূর্তে বাড়ছে না বলে জানান। পাশাপাশি, তিনি বলেছিলেন, “যদি একই ভাড়াতে বাস চালাতে কেউ রাজি হন, তা হলে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে।” আসানসোল মহকুমায় প্রায় চারশো ও দুর্গাপুর মহকুমায় প্রায় আড়াইশো মিনিবাস চলাচল করে।
এই পরিস্থিতিতে ‘দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার ক্যারিয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক কাজল দে জানান, তাঁরা মিনিবাস পরিষেবা চালু করতে রাজি। কিন্তু তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে মিনিবাস চালাতে গেলে, কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে মিনিবাস চালাতে হবে। ফলে, আয় কমবে। তেলের দাম, কর্মীদের বেতন, যন্ত্রাংশের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ খরচ উঠবে না। তাই সরকারের তরফে তেল ও কর্মীদের বেতনের খরচ যাতে দেওয়া হয়, সে প্রস্তাব পরিবহণমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।’’ ‘ফিটনেস’-সহ অন্য বিধি আগামী ছ’মাসের জন্য শিথিল করারও দাবি জানিয়েছে ওই সংগঠনটি। কাজলবাবু জানান, এ সব বিষয় নিয়ে জেলার পাঁচটি বাস মালিক সংগঠন শীঘ্র বৈঠকে বসবে।
এ দিকে, ‘লকডাউন’-বিধি কিছুটা শিথিল হওয়ায় শর্তসাপেক্ষে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলেছে। তুলনায় কম সংখ্যক কর্মী নিয়ে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পক্ষেত্রের কারখানাগুলিতে কাজ শুরু হয়েছে। ফলে, রাস্তায় মানুষজনের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু মিনিবাস পরিষেবা চালু না হওয়ায়, সমস্যা বাড়ছে বলে জানান তাঁরা। সমস্যা মেটাতে মিনিবাস মালিকদের সংগঠনগুলি নিজেদের মধ্যে ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করার কথা জানিয়েছে। কিন্তু সমাধানসূত্র মেলেনি বলেই দাবি।
তবে মিনিবাস না চললেও জেলার রাস্তায় বেশ কিছু অটো ও টোটো নেমেছে। রাস্তায় বেরিয়ে এ পর্যন্ত মানুষকে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না। কিন্তু ভবিষ্যতে কী হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বলে জানান দুর্গাপুরের বাসিন্দারা।
যদিও অতিরিক্ত জেলাশাসক (পরিবহণ) প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘পুরনো ভাড়াতেই মিনিবাস চালাতে হবে। মিনিবাস মালিকেরা এখন পর্যন্ত পরিষেবা চালুর বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাঁরা যোগাযোগ করলে, তাঁদের দাবির কথা রাজ্য সরকারকে জানানো হবে।’’