Coronavirus

অনলাইনে পড়া, পড়ুয়াদের মনের হালেও নজর

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অভিজিৎ মজুমদার বলেন, “পড়ুয়াদের মানসিক স্থিতি বোঝার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।“

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২০ ০৪:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাস রুখতে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। অনলাইনে ক্লাসও শুরু করেছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। তার পরেও ‘ফাঁক’ রয়েই যাচ্ছে। এ বার সমস্ত পড়ুয়ার হাতে ‘স্টাডি মেটিরিয়াল’ পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে মনোবিদ ও চিকিৎসকদের সাহায্যে পড়ুয়াদের মানসিক স্থিতির দিকেও নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কলেজগুলিকেও তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ‘স্টাডি মেটিরিয়াল’ ‘আপলোড’ করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অভিজিৎ মজুমদার বলেন, “পড়ুয়াদের মানসিক স্থিতি বোঝার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, বিশিষ্ট মনোবিদরা থাকবেন তাতে। তাঁদের পরামর্শ মেনে পড়ুয়াদের উপদেশ দেওয়া হবে।’’ ওই কমিটিতে রয়েছেন কলা বিভাগের ডিন রমেন সর ও বিজ্ঞান বিভাগের ডিন পবিত্রকুমার চক্রবর্তী। এ ছাড়া, সমাজবিজ্ঞান, দর্শনের শিক্ষকেরা থাকবেন। ঠিক হয়েছে, এ মাস থেকেই পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। তার পরে একটি ‘গ্রুপ’ করে অডিয়ো এবং ভিডিয়ো সেখানে ‘পোস্ট’ করা হবে। প্রতিদিন অনলাইন ক্লাসেও পড়ুয়াদের মানসিক স্থিতি বাড়ানোর জন্য কিছুটা সময় শিক্ষকেরা খরচ করবেন।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিভাগে ২৩টি বিষয়ে ও বিজ্ঞান বিভাগে ১২টি বিষয়ে স্নাতকোত্তরের পাঠ দেওয়া হয়। চার হাজারের বেশি পড়ুয়া রয়েছেন। গত ২৮ মার্চ থেকে শিক্ষকেরা অনলাইনে ভিডিয়ো কলে ক্লাস করাচ্ছেন। প্রশ্নোত্তর পর্বও থাকছে। শিক্ষকদের দাবি, একদম নতুন পদ্ধতি। তার পরে সব জায়গায় ইন্টারনেটের গতি ঠিকমতো মিলছে না। ফলে, ওই পদ্ধতিতে মাঝেমধ্যে ছেদ পড়ছে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, একটা বড় অংশের পড়ুয়া হস্টেলে থাকতেন। দিনের অনেকটা সময় হুল্লোড়, পড়াশোনা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতেন তাঁরা। ‘লকডাউন’-এ সামাজিক তো বটেই কিছুটা মানসিক দূরত্বও তৈরি হয়েছে। অনেক পড়ুয়াদের মধ্যেও তার প্রভাব পড়ছে। রমেনবাবু, পবিত্রবাবু বলেন, “মানসিক স্থিতি বাড়ানো, পড়ুয়াদের মধ্যে আতঙ্ক যাতে তৈরি না হয়, সে দিকে নিয়মিত খেয়াল রাখা হবে। মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া হবে। তাঁদের বক্তব্য বিভিন্ন গ্রুপে ‘আপলোড’ করা হবে। প্রতি সপ্তাহের শেষে কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজসমূহের পরিদর্শক সুজিত চৌধুরী কলেজগুলির কাছে চিঠি দিয়ে অনলাইনে ক্লাস শুরু করতে বলেছেন। ‘স্টাডি মেটিরিয়াল’ কলেজের ওয়েবসাইটে ‘আপলোড’ করতে বলা হয়েছে। শিক্ষকদের বক্তব্যও ‘সোশ্যাল মিডিয়া’র মাধ্যমে পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় পূর্ব বর্ধমান ছাড়া, হুগলি ও বীরভূমের ৬৮টি কলেজ রয়েছে। তাদের অনেকে অনলাইনে ক্লাস চালুও করে দিয়েছে। কয়েকজন অধ্যক্ষের দাবি, “স্টাডি মেটিরিয়াল আপলোড করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলে পড়ুয়াদের ‘স্ট্রেস’ কমানোর দিকেও নজর দেব বলে ঠিক করেছি।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement