আশাকর্মীর বাড়িতে বিএমওএইচ ও অন্যান্য সহকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে করোনায় আক্রান্ত আশাকর্মী মধুমিতা বাউড়ি ও তাঁর গোটা পরিবার। মারণ ব্যাধিতে যখন পরিবার কাবু, এমন সময় পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিএমওএইচ ফারুক হোসেন-সহ অন্য সহকর্মীরা। আশাকর্মীর করোনা সংক্রণের খবর পেয়েই আশা কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। তাঁর উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের স্বাস্থ্য শাখার পুরসা ইউনিট দু'মাসের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যায় আশাকর্মীর বাড়িতে।
মধুমিতা গলসি ১ নম্বর ব্লকের মানকরের বাসিন্দা। পরিবারে তিনি তার স্বামী ও একটি সন্তান রয়েছে। গোটা পরিবার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় একপ্রকার একঘরে হয়ে পড়েন তাঁরা। দীর্ঘদিন বাড়ি থেকে তাঁরা বাইরে বার হতে পারছিলেন না। কোনওরকমে এর-ওর কাছ থেকে চেয়েচিন্তে দিন চালাচ্ছিলেন। সেই সময়েই আক্রান্ত পরিবারের হাতে চাল, ডাল সব্জি, তেল, মশলা, ফলমূল নিয়ে পাশে দাঁড়ালেন আশাকর্মীর সহকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরসা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তিন-চারজন কর্মী একটি গাড়ি করে ওই খাদ্যসামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যান মধুমিতার বাড়িতে। তুলে দেন তারা দু'মাসের খাবার। সরকারি কর্মচারীদের পাশে পেয়ে ভরসা ফিরে পান মধুমিতা ও তার পরিবার।
স্বাস্থ্যকর্মী সংযুক্তা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যতদিন না মধুমিতা সুস্থ হয়ে উঠছে ততদিনই আমরা তাঁর বাড়িতে খাবার-সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেব।’’