প্রতীকী ছবি
করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে মহকুমায়। আক্রান্তদের পাঠানো হচ্ছে প্রায় একশো কিলোমিটার দূরে দুর্গাপুরের এক হাসপাতালে। রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ভোগান্তি কমাতে এ বার কালনায় ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বৃহস্পতিবার কালনা মহকুমা হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই জানান, এই হাসপাতাল চালু হলে বেশিরভাগ করোনা-আক্রান্ত এলাকাতেই চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। সব ঠিক থাকলে সপ্তাহ তিনেকের মধ্যে চালু হবে এই হাসপাতাল, দাবি তাঁর।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার জেলায় একটি বৈঠকে ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতাল গড়ার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। ঠিক হয়েছে, মহকুমা হাসপাতাল চত্বরেই গড়া হবে এই হাসপাতাল। তবে এর জন্য তৈরি হবে আলাদা পরিকাঠামো। হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের পাশে একটি জায়গায় শিশু বিভাগের জন্য পরিকাঠামো তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। যদিও এই বিভাগকে সম্প্রতি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তুলে নিয়ে যাওয়ার হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই পরিকাঠামো ব্যবহার করা হবে ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতাল তৈরির জন্য। তবে এই হাসপাতাল তৈরির জন্য পৃথক রাস্তা, বিদ্যুৎ-সহ পরিকাঠামো তৈরি করতে লাগবে আরও অন্তত সপ্তাহ তিনেক সময়।
হাসপাতালের সুপার জানান, যে জায়গায় ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতাল গড়ার কাজ হবে সেখানে ৪০ জনকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো রয়েছে। তবে ৩০টি শয্যা রেখেই প্রথমে চালু করা হবে এই হাসপাতাল। চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের আলাদা দল থাকবে। আপাতত মহকুমা হাসপাতাল থেকে কিছু নার্স ও চিকিৎসক দেওয়া হবে সেখানে। পরে প্রয়োজন পড়লে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন জানানো হবে। ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতালের পরিকাঠামো তৈরির জন্য আর্থিক বরাদ্দ পেতে অসুবিধা হবে না বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর তরফে আশ্বাস মিলেছে, দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
সুপারের কথায়, ‘‘পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই হাসপাতালে আইসিইউ গড়া হবে। মহকুমার বিভিন্ন ব্লক থেকে থাকা আসা বেশিরভাগ করোনা-আক্রান্তের চিকিৎসা হবে এখানেই। ডায়ালিসিসের মতো অন্য চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে, এমন আক্রান্তদেরই অন্যত্র পাঠানো হবে।’’
স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘করোনা-পরিস্থিতি এখনই মিটে যাবে বলে মনে হচ্ছে না। তাই মহকুমা পর্যায়ে চিকিৎসার পরিকাঠামো তৈরি হলে রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মী, সকলেরই হয়রানি কমবে।’’