Covid19

চার হাজার পার, চিন্তা করোনা-সংক্রমণের হারে

জেলার স্বাস্থ্য-কর্তাদের দাবি, কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিজেন টেস্টে পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ হলেও আরটি-পিসিআর যন্ত্রে ওই নমুনায় ‘নেগেটিভ’ দেখাচ্ছে। ফলে, বিভ্রান্তি হচ্ছে। আরটি-পিসিআর যন্ত্রে নমুনা পরীক্ষার ফল অনেক নির্ভরযোগ্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৫৮
Share:

প্রতীকী চিত্র

আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানে। তবে এখনও রাজ্য ও জেলার করোনা-বুলেটিনের তথ্যে পার্থক্য রয়ে গিয়েছে। কিছু দিন আগে পর্যন্ত করোনা সংক্রমিতদের সুস্থতার হার রাজ্যের তুলনায় এই জেলায় বেশি ছিল। কিন্তু সোমবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের থেকে সে হারে পিছিয়ে পড়েছে জেলা। এই পরিস্থিতিতে ‘আরটি-পিসিআর’ যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ছাড়া, আরও দু’টি সংস্থায় লালারস ও গ্রন্থিরসের নমুনা পাঠানোর বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলার কর্তারা।

Advertisement

সোমবার জেলার বুলেটিন অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমানে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৪,০৭৯ জন। তার মধ্যে সে দিনই আক্রান্ত হয়েছেন ১১৩ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ৫৬ জনের। অথচ, রাজ্যের সোমবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৩৪৬। মৃত ৪০ জন। জেলা প্রশাসনের কর্তারা বারবার দাবি করেছেন, করোনা-আক্রান্তের তালিকায় পূর্ব বর্ধমানের নাম ওঠার পর থেকেই রাজ্যের সঙ্গে তথ্যগত পার্থক্য রয়ে গিয়েছে। মূলত কর্মসূত্রে ভিন্‌ রাজ্য বা ভিন্‌ জেলায় থাকলেও ভোটার বা আধার কার্ডের ঠিকানা ধরে সংশ্লিষ্ট জেলার করোনা-রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। তাই পার্থক্য থেকেই যাচ্ছে, দাবি জেলার কর্তাদের। যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্য-কর্তারা জানিয়েছিলেন, জেলা যে তথ্য পাঠাচ্ছে, সেটাই প্রকাশ করা হচ্ছে।

গত মাসে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠকে রাজ্যের তুলনায় করোনা-সুস্থতার হার বেশি থাকায় মুখ্য সচিবের প্রশংসা কুড়িয়েছিল পূর্ব বর্ধমান। কিন্তু সোমবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৭% ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেখানে জেলার হার দাঁড়িয়েছে ৮৪.১৮ শতাংশ। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার গত কয়েকদিনে কমলেও, পূর্ব বর্ধমানে সেই হার একই রকম রয়েছে। যদিও সুস্থতা বা সংক্রমণের হারের দিক থেকে জেলা পিছিয়ে পড়ছে, তা মানতে নারাজ সিএমওএইচ প্রণব রায়। তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্যের সঙ্গে সংক্রমণে কোনও পার্থক্য নেই। সুস্থতার হারও আমাদের বেশ ভাল।’’

Advertisement

জেলার স্বাস্থ্য-কর্তাদের দাবি, কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিজেন টেস্টে পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ হলেও আরটি-পিসিআর যন্ত্রে ওই নমুনায় ‘নেগেটিভ’ দেখাচ্ছে। ফলে, বিভ্রান্তি হচ্ছে। আরটি-পিসিআর যন্ত্রে নমুনা পরীক্ষার ফল অনেক নির্ভরযোগ্য। তাই অ্যান্টিজেন টেস্ট কমিয়ে আরটি-পিসিআর যন্ত্রে পরীক্ষার হার বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, এখন দৈনিক গড়ে ২,৫০০ নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ১,৭০০ ‘অ্যান্টিজেন’ পরীক্ষা হচ্ছে। ঠিক হয়েছে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে আরও দু’টি জায়গায় অন্তত ৪০০-৫০০ নমুনা পরীক্ষা করানো হবে। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের কাছে এ নিয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করছি, কোন কোন সংস্থায় নমুনা পাঠানো হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। ওই নির্দেশ এলে অ্যান্টিজেন এবং আরটি-পিসিআর যন্ত্রে পরীক্ষা ৫০-৫০ হারে করাতে চাইছি।’’

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement