উদ্ধার হওয়া প্রাণী। নিজস্ব চিত্র
‘লকডাউন’-এর মধ্যেই প্যাঙ্গোলিন দেখতে ভিড় জমালেন গ্রামবাসীরা। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের আসিন্দা গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই গ্রামের বভ্রুবাহন বাউরির আনাজ খেতের জালের মধ্যে আটকে যায় প্যাঙ্গোলিনটি। সেটিকে ঝুড়ি দিয়ে আটকে রাখেন তিনি। সকালে খবর চাউর হতেই প্রাণীটিকে দেখার জন্য জড়ো হতে শুরু করেন গ্রামবাসী। পরিস্থিতি এমন হয় যে ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের। পরে আউশগ্রাম থানা সেটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
অনেকেই মনে করছেন, প্যাঙ্গোলিন জাতীয় পশু থেকে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। যদিও জেলা বনাধিকারিক দেবাশিস শর্মা জানান, প্যাঙ্গোলিন থেকে এই রোগ ছড়াতে পারে, এমন কোনও প্রমাণ নেই। এ দিন উদ্ধার হওয়া প্যাঙ্গোলিনটির বছর পাঁচেক বয়স বলেও তাঁর অনুমান।
স্থানীয় বাসিন্দা দেবব্রত ঘোষ জানান, প্রায় ফুট তিনেক লম্বা ২০ কেজি ওজনের প্যাঙ্গোলিন আগে এলাকায় দেখা যায়নি। সে কারণেই পুলিশ, প্রশাসনের বাধা টপকে ভিড় জমিয়েছিলেন লোকজন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের লোকজন সেটিকে নিয়ে চলে যায়। জানা গিয়েছে, প্যাঙ্গোলিনটিকে নিয়ে গিয়ে বন দফতরের কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বন দফতরের গুসকরা রেঞ্জ সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ণবয়স্ক ওই প্যাঙ্গোলিনটিকে আউশগ্রামের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে আউশগ্রামের ভিটিডাঙ্গাল থেকেও একটি প্যাঙ্গোলিন উদ্ধার করেছিলেন বনকর্মীরা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের জঙ্গল এলাকায় এ ধরনের প্রাণী অনেক থাকলেও সচরাচর দেখা যায় না। এরা সাধারণত মাটির নিচে গর্ত করে বসবাস করে। অতিরিক্ত গরমে এরা গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে।