প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র
আজ, মঙ্গলবার হুলদিবস। প্রতি বছর ঘটা করে এই দিনটি পালন হয়ে থাকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসায়। কিন্তু এ বছর করোনা- পরিস্থিতির জেরে ইতিমধ্যে বহু উৎসব-অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাটছাঁটও করা হয়েছে। তাই হুলদিবসের অনুষ্ঠান হবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। যদিও কাঁকসা ব্লক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এ বারও হুলদিবস পালন করা হবে। তবে করোনা-নিয়ম মেনেই সব কিছু হবে।
কাঁকসা ব্লকে রয়েছে প্রায় ৮০টি আদিবাসী গ্রাম। প্রতি বছর ৩০ জুন হুলদিবস পালন করা হয়। এই উপলক্ষে দু’দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশেষ করে আদিবাসী অধ্যুষিত জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় তা বেশ বড় করে পালিত হয়। কিন্তু এ বছর বাধ সেধেছে করোনা। লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই এই পরিস্থিতিতে এ বারের হুলদিবসের অনুষ্ঠান করা নিয়ে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
এ বছর ব্লকের মূল অনুষ্ঠানটি হবে ব্লক কার্যালয়ের পাশে একটি ক্লাবের মাঠে। অনুষ্ঠানে আগত সকলকেই ‘মাস্ক’ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ‘মাস্ক’ ও ‘স্যানিটাইজ়ার’ দেওয়া হবে। দর্শকাসনে চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে নির্দিষ্ট দুরত্বে দর্শকেরা বসবেন। পাশাপাশি, অনুষ্ঠানেও কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। যেমন, দল বেঁধে নৃত্য পরিবেশন করা যাবে না। দূরত্ববিধি মেনে অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে।
ব্লক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, হুলদিবসের দিনে বেশ কিছু খেলারও আয়োজন করা হয়। তবে ছোঁয়াচ এড়াতে এ বার ফুটবল, খো-খো, কবাডি বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে রাতের বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। বিডিও (কাঁকসা) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রত্যেক মানুষের মধ্যে যাতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় থাকে, সে দিকে নজর থাকবে।’’ শিল্পী সুমি টুডু, লক্ষ্মী সোরেনদের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আক্ষেপ তো থাকবেই। তবে আগে সকলের নিরাপত্তা। তার পরে সব কিছু।’’