বাঁ দিকে, স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছে নুরুদ্দিন রোড এলাকায়। ডানদিকে, এ ভাবেই ‘গন্ডিবদ্ধ’ করা হয়েছে এলাকা। নিজস্ব চিত্র
পশ্চিম বর্ধমানের একটি এলাকাকে ‘গন্ডিবদ্ধ’ (কনটেনমেন্ট জ়োন) রাখা হয়েছে, জানিয়েছেন জেলাশাসক। পাশাপাশি, আরও একটি এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালানোর কথা জানিয়েছে আসানসোল পুরসভা।
প্রশাসন জানিয়েছে, বুধবার থেকে আসানসোলের নুরুদ্দিন রোড এলাকাটি ঘেরার কাজ শুরু হয়েছে। জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘ওই এলাকাটি কনটেনমেন্ট করা হয়েছে। যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার দু’দিকে রাস্তার মুখে টিনের বেড়া দিয়ে ‘অবাধ’ যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরির নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি দল বার কয়েক ওই এলাকা পরিদর্শনও করেছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যদল নিয়ে সেখানে যান পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) দিব্যেন্দু ভগত। তিনি বলেন, ‘‘গত দু’দিন নুরুদ্দিন রোডের অনেকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। সবাই সুস্থ। এলাকায় ঘন-ঘন জীবাণুনাশক ‘স্প্রে’ করা হচ্ছে। নিয়মিত সাফাই ও নিকাশির কাজ চলছে।’’ পাশাপাশি, দিব্যেন্দুবাবু জানান, স্বাস্থ্যকর্মীরা স্বাস্থ্যপরীক্ষার কাজ চালিয়ে যাবেন। তেমন কিছু দেখলে পদক্ষেপ করা হবে।
পাশাপাশি, আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘আসানসোল রেলপাড়ের নয়ামহল্লা ও হাটনরোডে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে। নুরুদ্দিন রোড ও রেলপাড়ের দু’টি জায়গা-সহ শহরের জনবহুল এলাকাগুলিতে জীবাণুনাশক ছড়ানো হচ্ছে।’’
আসানসোল জেলা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে আসানসোলে জেলা হাসপাতালের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ সাত জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।