কাটোয়া শহরের একটি দোকানে। নিজস্ব চিত্র।
করোনায় আক্রান্ত বাড়ছে। বাড়ছে পুজোর কেনাকাটা, ভিড়ও। কাটোয়ার শহরের একাংশ বাসিন্দার দাবি, শপিংমল থেকে সাধারণ দোকান বেশির ভাগ জায়গাতেই মাস্ক না পরে ঘেঁষাঘেঁষি করে বেচাকেনা চলছে। যত পুজো এগিয়ে আসছে, ততই প্রশাসনের রাশ আলগা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। যদিও পুরসভা এবং প্রশাসনের দাবি, স্বাস্থ্য-বিধি মানতেই হবে। সেই মতো প্রচার চালানো হচ্ছে।
শহর ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ দোকানেই ঢোকার মুখে হাতে স্যানিটাইজ়ার দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না লোকও। এক সঙ্গেই একাধিক পরিবারের লোকজন ঢুকে কার্যত ঘাড়ের উপরে দাঁড়িয়ে জিনিস কিনছেন। বাসিন্দাদের দাবি, কখনও কখনও মনেই হচ্ছে না করোনা সংক্রমণ বলে কিছু আছে। শহরের বাসিন্দা কার্তিক হালদার, মিঠু দত্তদের কথায়, “মানুষ যে করোনাকে ভয় পান না তা প্রমাণিত। যত দিন পুলিশ ধরছিল, তত দিন মাস্ক মুখে ছিল। আনলক শুরু হতেই ঢিল দিচ্ছে সব পক্ষ। অথচ, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু কমছে না।’’ তাঁদের দাবি, এ ভাবে ভিড় হতে থাকলে, পুজোর সময়ে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রচণ্ড আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসনকে সক্রিয় হতে হবে।
ব্যবসায়ীদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দশেক আগে থেকেই পুজোর বাজার জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। নানা শপিংমল ও ছোট বড় কাপড়ের দোকানে সকাল-দুপুরে ভালই ভিড় জমছে। কিন্তু ক্রেতা-বিক্রেতা দু’তরফেই সচেতনতার অভাব রয়েছে। সামনাসামনি দাঁড়িয়ে মাস্ক ছাড়া বেচাকেনা চলছে। বিক্রেতাদের অনেকের দাবি, গরমে টানা মাস্ক পরে থাকতে পারছেন না তাঁরা। কেউ মাস্ক নামিয়ে রাখছেন থুতনিতে। অথচ, এই রোগ থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢাকা মাস্কই ভরসা।
কাটোয়া পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “করোনা সংক্রমণ রুখতে পুরসভার তরফ থেকে প্রথম থেকেই লাগাতার সচেতনতা মূলক প্রচার করা হচ্ছে। পুজোর সময় স্বভাবতই ভিড় বেশি হচ্ছে। তাই মানুষকে সচেতন হয়েই রাস্তায় নামতে হবে। দোকানে দোকানে যাতে এক সঙ্গে বেশি ভিড় না হয় তা নিয়ে ব্যবসায়ী সংগঠনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ মহকুমাশাসক (কাটোয়া) প্রশান্তরাজ শুক্ল বলেন, “কোনও মতেই শপিংমল বা দোকানে ভিড় করা যাবে না। বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য-বিধি মেনে চলতে হবে। নজরদারি চালবে। নির্দেশ না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’