পারুলিয়া বাজারে। নিজস্ব চিত্র
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের জামালপুরের হাটকে নানা ভাগে ভাগ করে দেওয়া হল। সঙ্গে বড় জায়গায় সরানো হল পারুলিয়া বাজার। আবার কালনার অন্য বাজারে রবিবার ‘লকডাউন’ চলা সত্ত্বেও দেখা গেল ভিড় করে জিনিসপত্র কিনছেন বহু মানুষ। চোখে পড়ল না পুলিশ, প্রশাসনের ‘নজরদারি’ও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সচেতনতামূলক প্রচার সত্ত্বেও সকাল থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত ভিড় দেখা যাচ্ছে কালনার চকবাজার এলাকায়। ভিড়ের মধ্যেই মাছ, আনাজ, মুদিখানার জিনিসপত্র কিনছেন বহু মানুষ। এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেরই দাবি, এই বাজারের কাছাকাছি বড় একটি খেলার মাঠ রয়েছে। বাজারের একাংশ সেখানে স্থানান্তর করা হলে ভিড় কম হবে।
কালনার এসটিকেকে রোডের দু’পাশ থেকে পাইকারি বাজারটিকে কিছুটা সরিয়ে দেওয়া হলেও এখনও বেশ কিছু ব্যবসায়ী পুরানো জায়গাতেই রমরমিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন। ভিড় জমছে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নসরৎপুর এলাকার একটি বাজারেও। এরকম পরিস্থিতি চললে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলেও আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের। যদিও মহকুমা প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, ‘‘বাজারগুলিতে ভিড় যাতে না জমে তার জন্য লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে। কয়েকটি বাজারে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।’’
জামালপুরের হাটেও প্রতি রবিবার আনাজ, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সঙ্গে গরু, মোষ, ছাগল, হাঁস, মুরগির কেনাবেচা হয়। ছোট, বড় আড়াইশো ব্যবসায়ী বসেন সেখানে। ভিড়ও জমে ভালই। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে তাই হাট ভেঙে ভেঙে বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় ব্লক প্রশাসন। দূরত্ব বজায় রেখে কেনাবেচার আবেদনও জানানো বয় ক্রেতাদের কাছে। পূর্বস্থলী ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তপন চট্টোপাধ্যায় জানান, গবাদি পশু কেনাবেচা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পেতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেই কারণে বাজার ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কালেখাঁতলা, বেলেরহাট, পূর্বস্থলী স্টেশন বাজার, লক্ষ্মীপুর বাজার, কুকসিমলা এলাকার বাজারও সরানো হয়েছে বলে পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে।