গলসির চার যুবক। নিজস্ব চিত্র
গোটা জেলায় ‘লকডাউন’। প্রায় কোনও গণ পরিবহণ মিলছে না। এই পরিস্থিতিতে রোগীদের নিয়ে পরিজনেরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, সে জন্য উদ্যোগী হলেন গলসি ২ ব্লকের বাহিরঘন্ন্যার চার যুবক।
পেশায় আনাজ বিক্রেতা রাজেশ মল্লিক, গাড়ি চালক নয়ন মণ্ডল, ভোলা মণ্ডল ও ঠিকাদার মহরম শেখ জানান, যে কোনও রোগে আক্রান্তকে গাড়িতে নিখরচায় হাসপাতালে পৌঁছে দেবেন তাঁরা। মঙ্গলবার থেকে এই পরিষেবা চালু করেছেন বলে তাঁদের দাবি।
মহরমেরা জানান, এখন কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়া বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছতে পারবেন না। গলসিতে বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা হাতেগোনা। ফলে অনেকেই সমস্যায় পড়বেন। তাঁরা বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে কোনও রোগীর বিষয়ে খবর পেলে আমরা গাড়িতে করে হাসপাতালে পৌঁছব। যত দিন লকডাউন চলবে তত দিন এই পরিষেবা চালু থাকবে।’’
তাঁরা জানান, এই পরিষেবা চালু করতে ইতিমধ্যে প্রচার শুরু করেছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াও মাইকে করে গলসি ২ ব্লকের নানা গ্রামে প্রচার করছেন তাঁরা। ৯৭৪৯১২৫১২৬ ও ৯০৬৪৪৭৭৫৭৬— এই দু’টি নম্বরে রোগীর পরিজনেরা ফোন করলেই বাড়িতে গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যাবেন বলে তাঁদের আশ্বাস।
রাজেশরা জানান, কারও একার পক্ষে এই পরিষেবা চালু করা সম্ভব নয়। তাই চার বন্ধু মিলে উদ্যোগী হয়েছেন। ভোলা ও নয়ন বলেন, ‘‘আমরা গাড়ি চালাই। খরচ নিজেরাই জোগাড় করব।’’ তাঁদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আইনজীবী জাহির জামাল মল্লিক, এলাকার যুবক হেমন্ত পাল, স্বরূপ ঘোষেরা। তাঁরা ভোলা-নয়নদের আর্থিক ভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। গলসি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাসুদেব চৌধুরী বলেন, ‘‘এই সময়ে খুব ভাল উদ্যোগ। এখন মানুষ মানুষের পাশে থাকবেন, এটাই তো কাম্য।”