হাজির। বর্ধমান মেডিক্যালে। নিজস্ব চিত্র ।
কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রাধারানি বিভাগ। তার পরেও, করোনা আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে পরিজনেদের কথাবার্তা, দেখা-সাক্ষাৎ আটকানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। মঙ্গলবারও হাসপাতাল সুপারের অফিসের দিকের কাঁটাতার ধরে দাঁড়িয়ে জনা পাঁচেক লোককে গল্প করতে দেখা যায়। তাঁদের মাস্কও নামানো ছিল থুতনিতে। হাসপাতাল ক্যাম্পের পুলিশকর্মীদের দাবি, সরিয়ে দিলেও কিছুক্ষণ পরে আবার এসে যাচ্ছেন অনেকে। এত কিছুর পরেও মানুষকে সচেতন করা না গেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল, দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রায় চারশো শয্যায় করোনা চিকিৎসা চলছে। সম্প্রতি কোভিড ওয়ার্ডে রোগীর পরিজনেদের অবাধ যাতায়াত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রাজ্যের কাছে রিপোর্ট পাঠান কোভিড ম্যানেজমেন্ট দলের সদস্যেরা। হস্তক্ষেপ করেন জেলাশাসকও। এর পরেই, হাসপাতাল জুড়ে সচেতনতা পোস্টার সাঁটানো হয়। রাধারানি ওয়ার্ডে যাওয়ার একটি রাস্তা বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। তাতেও সমস্যা মেটেনি। অভিযোগ, ওয়ার্ডে ঢোকা বন্ধ হলেও জানালা দিয়ে কথাবার্তা, জিনিসপত্র, খাবার আদানপ্রদান চলছিল। বাধ্য হয়ে গোটা রাধারানি ওয়ার্ডকে কাঁটাতারে ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সপ্তাহখানেক আগে কাঁটাতার বসে। কিন্তু তারপরেও হুঁশ ফেরেনি অনেকেরই।
যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই দাবি করেন, সপ্তাহখানেক ধরে তাঁদের পরিজনেরা করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। কিন্তু কেমন আছেন সে খবর সব সময়ে মিলছে না। সে কারণেই দেখতে এসেছেন তাঁরা।
হাসপাতালের সুপার প্রবীর সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘কাঁটাতার দেওয়ায় বিভিন্ন ব্লকের মাঝের অংশে ঢোকা বন্ধ করা গিয়েছে। তবে পিছন দিয়ে অনেকে যাচ্ছেন বলে শুনেছি। কিন্তু জানলা থেকে অনেকটা দুরত্ব তৈরি হয়েছে। ফলে, রোগীর সঙ্গে খাবার দেওয়া-নেওয়া করা যাচ্ছে না। এখনও যদি মানুষ সচেতন না হন, আমাদের আরও বড় বিপদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’’