ফাইল চিত্র।
দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় ধর্মীয় সমাবেশ থেকে আসানসোলে আসা ৩০ জন বিদেশি-সহ ৩৭ জনকে কলকাতায় ‘কোয়রান্টিন’-এ পাঠিয়ে দেওয়া হল। পাশাপাশি, রেলপাড় এলাকার যে তিনটি মসজিদে তাঁদের ‘কোয়রান্টিন’-এ রাখা হয়েছিল, সেগুলিতে বৃহস্পতিবার প্রতিষেধক ছড়ানো হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন।
প্রশাসন জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ওই ৩৭ জনকে পুলিশি নজরদারিতে কলকাতায় বিধাননগরের হজ হাউসে স্থানান্তরিত করা হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, ‘‘পুলিশি নজরদারিতে ওই ৩৭ জনকে আমরা কলকাতায় স্থানান্তরিত করেছি। সেখানেই তাঁরা কোয়রান্টিনে থাকবেন।’’
মার্চ মাসের শুরু থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত দিল্লির একটি মসজিদে তবিলিঘি জামাত আয়োজিত ধর্মীয় জমায়েতে যোগ দেওয়া প্রায় ৩৭ জন ৩১ মার্চ আসানসোলের রেলপাড় এলাকার তিনটি মসজিদে আসেন বলে খবর পায় প্রশাসন। গত মঙ্গলবার রাতে ওই তিনটি মসজিদে যান প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। পৌঁছয় আসানসোল পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকদলও। প্রশাসন জানিয়েছিল, ওই ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ মেলেনি।
এ দিকে, ওই ৩৭ জনের কথা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। তবে স্থানীয়দের অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানায় পুরসভা। এর পরে এ দিন আসানসোল পুরসভা তিনটি মসজিদে ভাল ভাবে প্রতিষেধক ছড়ায়। পুরসভা জানিয়েছে, রেলপাড়ের জন-স্বাস্থ্যের দেখভালের উদ্দেশ্যে চিকিৎসক শামিম আলমের নেতৃত্বে একটি চিকিৎসকদল গঠন করা হয়েছে। তাঁরা এলাকায় ঘুরে ঘুরে খোঁজ খবর রাখবেন।