Coronavirus in West Bengal

ঘর কম, গাছতলায় নিভৃতবাস দুই যুবকের

গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন। তাঁদের খাবার ও জলের ব্যবস্থা করছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কুলটি শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২০ ০৫:০০
Share:

তাঁবুতেই চলছে নিশিযাপন। কুলটির নিয়ামতপুর লাগোয়া গ্রামে। ছবি: পাপন চৌধুরী

ঘরের অভাব। তাই মানাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য গ্রাম থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে গাছতলায় তাঁবুর ‘নিভৃতবাস কেন্দ্র’ (কোয়রান্টিন সেন্টার)-এ রয়েছেন দুই যুবক। তাঁদের জন্য বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে এই কেন্দ্র তৈরি করে দিয়েছেন গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা। এই দৃশ্য কুলটির নিয়ামতপুর লাগোয়া কামারবাঁধ গ্রামের।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে নতুন দিল্লিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন গ্রামের দুই যুবক। শনিবার তাঁরা গ্রামে ফিরে এসেছেন। পুলিশ ও চিকিৎসকেরা তাঁদের নিভৃতবাসে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু বাড়িতে পর্যাপ্ত ঘর নেই। এই অবস্থায় এগিয়ে এসেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করে দেন বাসিন্দারা।

রবিবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, লাল রঙের ত্রিপলের তাঁবুর তলায় বসে রয়েছেন সাজন রায় ও লক্ষীন্দর সোরেন। সাজন জানালেন, এতদিন তাঁরা নতুন দিল্লিতে কাজ করছিলেন। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে করে প্রথমে মালদহ এসেছেন। সেখান থেকে বর্ধমান হয়ে শনিবার বিকেলে আসানসোলে পৌঁছন। তিনি বলেন, ‘‘চিকিৎসকেরা আমাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেছেন। লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন। সঙ্গে বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দিয়ে যান তাঁরা।’’ কিন্তু বাড়িতে পর্যাপ্ত ঘর না থাকায় সমস্যা তৈরি হয়।

Advertisement

তাঁরা যে ফিরছেন সে খবর আগেই পেয়েছিলেন পরিবারের সদস্য ও গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিত রায় বলেন, ‘‘তাদের সমস্যার কথা জেনে আমরা সবাই মিলে ঠিক করি, গ্রাম থেকে একটু দূরে তাঁবু খাটিয়ে দু’জনের থাকার ব্যবস্থা করব। সেই মতো ব্যবস্থা করা হয়।’’ রঞ্জিতবাবু জানান, এই গ্রামে কোনও কমিউনিটি সেন্টার নেই। তাই তাঁবু খাটিয়েই থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন। তাঁদের খাবার ও জলের ব্যবস্থা করছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement