লক্ষ্মণরেখা: বর্ধমানের গ্রামে রেশনের দোকানের বাইরে নির্দিষ্ট দূরত্বে লাইন। নিজস্ব চিত্র
সুস্থ থাকতে সচেতন হচ্ছেন মানুষ, বুধবার দিনভর জেলার একটা বড় অংশ থেকে যে ছবি উঠে এসেছে তাতে এমনটাই মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা। আশার আলোও দেখছে পুলিশও।
সোমবার থেকে জেলার পাঁচটি পুরসভা ও তিনটে গ্রামীণ এলাকায় ‘লকডাউন’ শুরু হয়। মঙ্গলবার বিকেল থেকে গোটা জেলা তার আওতায় চলে আসে। মুদির দোকান ও আনাজ বাজারে পরপর দু’দিনই ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। রাস্তাও উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরা, পাড়ায় জটলাও ছিল। পরিস্থিতি সামলাতে সক্রিয় হতে হয় পুলিশকে। অতিসক্রিয় হওয়ারও অভিযোগ ওঠে। বুধবার অবশ্য ছবিটা অনেকটাই আলাদা।
এ দিন বিভিন্ন বাজারে তুলনামূলক ভিড় কম ছিল। বর্ধমান, মেমারিতে রাস্তাতেও প্রয়োজন ছাড়া, তেমন লোক দেখা যায়নি। শক্তিগড় থানার পুলিশ, বর্ধমান ২ প্রশাসনের কর্তারা বিভিন্ন মুদির দোকান, ওষুধের দোকান, রেশন দোকানে গিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশমতো ক্রেতাদের নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেওয়ার জন্য বিক্রেতাদের বলে আসেন। অনেক জায়গায় প্রশাসনের তরফে ফিতে দিয়ে মেপে নির্দিষ্ট দূরত্বে চক ও আবির দিয়ে দাগ দিয়ে দেওয়া হয়। একটি দোকানের মালিক বিমল দাস ক্রেতাদের জন্য ‘স্যানিটাইজ়ার’-এর ব্যবস্থাও করেছিলেন। দোকান মালিক অঞ্জন মহান্ত, রাজেশ চন্দ্ররা বলেন, “প্রশাসনের এই ভূমিকায় আমরা খুবই খুশি। হুড়োহুড়ি হল না, আবার সবাই প্রয়োজন মতো দ্রব্যও পেলেন।’’
জেলার রেশন ডিলারদের সংগঠনের কর্তা পরেশনাথ হাজরা বলেন, “প্রত্যেক রেশন ডিলারকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মেনে গ্রাহকদের দাঁড়াতে বলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বেশির ভাগ জায়গাতেই সেই নির্দেশ মানা হয়েছে।’’ রেশন ডিলারেরাও চক দিয়ে দূরত্ব তৈরি করে দিয়েছিলেন। এ দিন স্বাস্থ্য দফতরও বিভিন্ন দোকানে গিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে ক্রেতাদের দাঁড়াতে বলার নোটিস দেয়।