প্রতীকী চিত্র
দুর্গাপুর সংশোধনাগারের এক আবাসিকের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট কোভিড পজ়িটিভ এসেছে, এমনটাই জানিয়েছে প্রশাসন। তাঁর রিপোর্ট আসার পরে, বৃহস্পতিবার সকালে সংশোধনাগারের বাকি আবাসিকদের র্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়। তাতে দেখা যায়, আরও ৪৮ জন সংশোধনাগারের আবাসিকের কোভিড রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে।
রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে বেশ কিছু দিন ধরেই আবাসিকদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে ৩০ জনেরও বেশি আবাসিকের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩১ অগস্ট দুপুরে দুর্গাপুর সংশোধনাগারের এক আবাসিককে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভর্তি করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর তাঁর শরীরে জ্বরের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় কোভিড পরীক্ষা করানো হয়। বুধবার রাতে তাঁর রিপোর্ট কোভিড পজ়িটিভ আসে। মহকুমা হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রজিৎ মাজি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার ওই রোগীকে মলানদিঘির কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সংশোধনাগারের আরও ১৫১ জন আবাসিকের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়। ৪৮ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে।’’ মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলে জানান, মহকুমা হাসপাতালের একটি বিশেষ চিকিৎসক-দল সংশোধনাগারে গিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করে।
এ দিকে, দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে (ডিএসপি) কাজে যোগ দিতে আসা কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর (সিআইএসএফ) ১২ জন জওয়ান কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন কারখানার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বেদবন্ধু রায়। সিআইএসএফ জওয়ানদের একাংশ জানান, তাঁদের নানা রাজ্যের কারখানায় ঘোরাঘুরি করতে হয়। সে জন্য সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে কি না, তা নিয়ে ধন্দে তাঁরা। এ দিকে, সংক্রমণের খবর মিলতেই আক্রান্ত কর্মীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় বলে সিআইএসএফ কর্তারা জানান। পাশাপাশি, তাঁদের জায়গায় অন্য জওয়ানদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে, ওই ১২ জন জওয়ান কাজে যোগ দেননি। তাঁদের আগেভাগেই কোভিড পরীক্ষা করানো হয়। এই মুহূর্তে তাঁদের সংস্থার ‘সেফ হোম’-এ রাখা হয়েছে। তবে ওই জওয়ানেরা যেহেতু কারখানার ভিতরে ঢোকেননি, তাই চিন্তার কিছু নেই বলে দাবি করেছেন ডিএসপি কর্তৃপক্ষ।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)