কালনা মহকুমা হাসপাতালে ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে পরিযায়ী শ্রমিকেরা। নিজস্ব চিত্র
ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকেরা এসে পৌঁছতেই লালারসের নমুনা সংগ্রহের ভিড় জমেছে কালনা মহকুমা হাসপাতালে। সামাজিক দূরত্বের বিধি উড়িয়ে লাইনে দীর্ঘ সময় গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শ্রমিকেরা। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কাও বেড়েছে বহুগুণ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আজ, শনিবার থেকে ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখনও পর্যন্ত কালনা মহকুমায় করোনা আক্রান্ত কারও খোঁজ মেলেনি। তবে পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফেরার পরে, এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে নমুনা সংগ্রহের হার। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ১০৭ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শুক্রবারও সকাল থেকেই ভিড়, গাদাগাদি করে লাইন দিয়ে দেখা যায় শ্রমিকদের।
অনেকেই জানান, দু’ঘণ্টারও বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পরিকাঠামো নিয়ে অসন্তোষও জানান অনেকে। লহনা এলাকার যুবক অরুণকুমার নায়েক বলেন, ‘‘সম্প্রতি কলকাতা থেকে ফিরেছি। হাসপাতালে যে ভাবে লালারস সংগ্রহের জন্য গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে তাতে না এখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।’’ আরও শ্রমিক ঘরে ফিরে এলে দুর্ভোগ বাড়বে বলেও তাঁদের আশঙ্কা। নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র বাড়ানোর দাবি করেছেন তাঁরা।
হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই জানান, পরিস্থিতি দেখে ভিড় নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ব্লকগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এক সঙ্গে অনেককে না পাঠিয়ে সারা দিন বিভিন্ন সময়ে কিছু কিছু করে মানুষকে লালারসের নমুনা জমা দেওয়ার জন্য পাঠানোর কথা। ভিড় কমাতে হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বাড়ানো হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, যাঁদের লালারস পরীক্ষা হবে তাঁদের নাম, তথ্য নথিভুক্ত করাতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। দু’জন প্যাথলজিস্ট-সহ একটি বিশেষজ্ঞ দল ওই কাজ করছে।