প্রতীকী চিত্র।
মুম্বই থেকে আসা পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বাসিন্দা মা ও ছেলের শরীরে করোনা-সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এমনটাই জানিয়েছেন জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি। জেলাশাসক বলেন, “দু’জনের শরীরে করোনা-সংক্রমণ মিলেছে। তাঁদের কাঁকসার কোভিড-হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তাঁরা আমাদের জেলার বাসিন্দা নন।”
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানসার আক্রান্ত মা-কে মুম্বইয়ে চিকিৎসা করিয়ে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন বিএসএফ-কর্মী ছেলে। ফেরার পথে গত ১১ মে পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানায় পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির ডুবুরডিহিতে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট গাড়ি আটকায়। দু’জনকেই আসানসোল জেলা হাসপাতালে আনা হয় এবং তাঁদের সেখানে ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দু’জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে পরীক্ষার ফল ‘পজ়িটিভ’ আসে। রাতেই তাঁদের দু’জনকে কাঁকসার ‘কোভিড হাসপাতালে’ পাঠায় প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের এড়াল পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা বছর আঠাশের ওই যুবক ত্রিপুরায় বিএসএফে কর্মরত। ‘লকডাউন’-এর আগে মাকে নিয়ে ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে মুম্বই যান তিনি। চিকিৎসা শেষে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে বাড়ি ফিরছিলেন। আউশগ্রাম ২-এর বিডিও সিঞ্জন শেখর বলেন, ‘‘ওই দু’জন এলাকায় ঢোকেননি। ফলে, আপাতত সংস্পর্শে আসা কারও খোঁজ নেই। পরিস্থিতি নজরে রাখা হবে।’’
এ দিকে, প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল জেলা হাসপাতালের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ বর্তমানে এক প্রসূতি ও তাঁর সদ্যোজাতকে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার আসানসোল জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসায় করাতে আসা ছ’জনকে সেনর্যালে রোডের ‘কোভিড হাসপাতাল’-এর ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ রাখা হয়েছে।