প্রতীকী ছবি।
করোনা-পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ বারের পুজোয় বেশ কিছু বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আয়োজকেরা। এই তালিকায় বাড়ির পুজো যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে বারোয়ারি পুজোও।
এ বার তিনশো বছরে পড়েছে আসানসোল গ্রামের রায় পরিবারের দুর্গাপুজো। প্রথম দিকে এটি পারিবারিক পুজো থাকলেও এখন পুরোপুরি সর্বজনীন রূপ নিয়েছে। এই পুজোর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কিন্তু এ বার সে সবের অনেকগুলিই বাতিল করা হয়েছে বলে জানান পুজো কমিটির সভাপতি শচীন রায়। যেমন, প্রতিবার আটটি দুর্গা প্রতিমার পুজো হয়। এ বার একটিমাত্র ছোট প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। অন্য প্রতিমাগুলির স্থানে কলস পুজো হবে। নবপত্রিকা স্নানের আয়োজনও খুবই সাদামাটা ভাবে হবে।
কুলটির বেলরুইতে রায় পরিবারের পুজোয় এ বার মণ্ডপে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। থাকবেন, শুধু পুরোহিতেরা। এই পুজোর বিশেষ আকর্ষণ, বিসর্জনের সময়ে বন্দুক থেকে পুরুষ ও মহিলারা গুলি ছোড়েন। তা দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়ে। কিন্তু এ বার সেই আচার থাকছে না, জানান পরিবারের সদস্য বাচ্চু রায়। আসানসোলের অন্যতম আকর্ষণ জিটি রোড লাগোয়া মহাবীর আখড়ার শারদোৎসব। এখানে পুজোর দিনগুলিতে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় জমে। এ বার সেই পরিস্থিতি যাতে না হয়, সে জন্য প্রশাসনের পরামর্শে পুজোর আচার-অনুষ্ঠান সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছেন পুজো কমিটির সম্পাদক অরবিন্দ সাউ।
পাশাপাশি, চিত্তরঞ্জনের এরিয়া ছয়ের পুজো বরাবরই থিম নির্ভর। এ বার তা হচ্ছে না। চরণামৃত ও পঞ্চপ্রদীপের শিখা নিতে বরাবর এই পুজোয় ভিড় জমান ভক্তেরা। এ বার, বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে পুরোহিত দূর থেকেই ভক্তদের শিখা ও চরণামৃত দিতে পারবেন বলে জানান পুজোর অন্যতম কর্ণধার বাপ্পা কুণ্ডু। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলের প্রায় সব পুজো উদ্যোক্তারাই এক কথা, এ বার পুষ্পাঞ্জলি দিতে মণ্ডপে আসার দরকার নেই। মণ্ডপ থেকে মাইকে পুরোহিত পুষ্পাঞ্জলির মন্ত্রোচ্চারণ করবেন। বাড়িতে থেকেই বা মণ্ডপ থেকে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে ভক্তেরা যাতে পুষ্পাঞ্জলি দেন, সেই আর্জি জানিয়েছেন আয়োজকেরা।