পুলিশি ঘেরাটোপে আসামিরা। —নিজস্ব চিত্র।
বিচারক সবে সাজা ঘোষণা করেছেন। আচমকা চিৎকার। এজলাসের মধ্যেই সরকারি আইনজীবীকে খুনের হুমিকি দিল আসামি। শুক্রবার এ নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল আসানসোল আদালত চত্বরে। কোনও ক্রমে আসামিকে বার করে নিয়ে যায় পুলিশ। নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চলতি বছরের জুন মাসে আসানসোল উত্তর থানার গাঁজা-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে আসানসোল পুলিশ। শুক্রবার ওই মামলার শুনানি চলছিল আসানসোলের বিশেষ এনডিপিএস আদালতে। তার আগে বুধবারই অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। শুক্রবার পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে অজগর খান ওরফে মিস্টার এবং রিয়াজ হাইদার ওরফে রাজুকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। তাছাড়া ফাইজ হায়দার এবং মহম্মদ আজাদ ওরফে সাল্লুকে ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া গিয়াসউদ্দিন খানকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। আসামিরা সবাই আসানসোল উত্তর থানার রেলপাড় খানপট্টি, ঝোপর পট্টি এবং সুগম পার্ক এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু বিচারক সাজা ঘোষণার পরই চিৎকার শুরু করেন আসামীদের কয়েক জন।
অভিযোগ এই সাজা ঘোষণার পর আদালত চত্বরে ওই মামলার সরকারি আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আসামিদের একাংশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আদালত চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।