প্রতীকী ছবি।
সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন আগে পালন করা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিল জামালপুরের স্কুলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বৃহস্পতিবার জামালপুরের কোলসরা প্রাথমিক স্কুলটি না খোলায় খোঁজ করতে যান তাঁরা। গিয়ে জানা যায়, আগের দিন অনুষ্ঠান করে বৃহস্পতিবার ‘ছুটি’ দিয়েছেন শিক্ষকেরা। ক্ষোভ দেখান এলাকার লোকজন। তাঁরা নিজেরা নেতাজির জন্মদিন পালনে উদ্যোগীও হন। খবর পেয়ে স্কুলে আসেন প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী লাহা ও শিক্ষক সোমনাথ দাস। তাঁদের দেখে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসী।
শিক্ষকদের পাল্টা অভিযোগ, সোমনাথবাবুর গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠান পালন করতে গিয়েও বাধ্য হয়ে তাঁরা স্কুল ছেড়ে চলে আসেন। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ অভিভাবকেরা। তাঁদের ক্ষোভ, শিক্ষকেরা ছুটি নেবেন বলে এ ভাবে কারও জন্মদিন আগে পালন করা যায় না। দেশবরেণ্য নেতার প্রতি সকলের শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত। পড়ুয়াদের উপরে এর কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে।
স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি অঞ্জনা পাল জানান, এ ঘটনা নেতাজিকে অবমাননার সামিল, যা মানা যায় না। প্রধান শিক্ষিকা কিছু বলতে চাননি। তবে সহ শিক্ষক সোমনাথ দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুধবার শ্রেণিকক্ষে নেতাজির জন্মদিন পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারও পালন করা হবে বলে স্কুলে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হয়েছে।
একাধিক শিক্ষক সংগঠনের দাবি, নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন না করা অন্যায়। কিন্তু শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগও ক্ষমার যোগ্য নয়। ওই সব অভিভাবক বা গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অচিন্ত্যকুমার চক্রবর্তী জানান, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।