—প্রতীকী চিত্র।
আজ, শুক্রবার থেকে শুরু কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী গোপীনাথের মেলা। বিশাল এলাকা জুড়ে মেলা বসেছে। প্রশাসনের যাবতীয় প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ হয়েছে। মেলার প্রস্তুতি কেমন হয়েছে তা সরেজমিনে দেখতে বৃহস্পতিবার অগ্রদ্বীপে গেলেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য নিতাইসুন্দর মুখ্যোপাধ্যায়, কাটোয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রাজীব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। বিধায়ক এ দিন গোপীনাথের মন্দিরে পুজোও দেন।
লোকসভা ভোটের আবহে এই মেলাকেও প্রচারে ব্যবহার করতে ছাড়েননি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। অগ্রদ্বীপ ভাগীরথীর ঘাটের কাছে কাটোয়ার দিকে বিজেপির প্রার্থী অসীম সরকারের ছবি দিয়ে মেলায় আসা পূণ্যার্থীদের স্বাগত জানিয়ে একটি বড় তোরণ করা হয়েছিল। তৃণমূলের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়েও বেশ কয়েকটি তোরণ হয়। তবে এ নিয়ে দুই দলের পরস্পরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ হলে প্রশাসনের নির্দেশে তোরণগুলি খুলে দেওয়া হয়।
ফেরিঘাটের কাছে অযোধ্যার রামলালার ছবি দিয়ে একটি তোরণ হয়। এ নিয়ে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। অগ্রদ্বীপের তৃণমূল নেতা জেলা পরিষদের সদস্য নিতাইসুন্দর মুখ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। তাই গোপীনাথের মেলায় কোনও রাজনীতি করতে চাই না। কিন্তু বিজেপি গোপীনাথের থেকেও বড় রামের ছবি দিয়ে তোরণ করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।”
পূর্ব বর্ধমান জেলা (কাটোয়া) বিজেপির সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আসলে তৃণমূল তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে সনাতন ইতিহাস ভুলে গিয়েছে। রামচন্দ্রের পরবর্তী ধারক ও বাহকই হচ্ছেন স্বয়ং গোপীনাথ। তা ছাড়া রাজ্য সরকারই এ বছর থেকে রাম নবমীর ছুটি ঘোষণা করেছেন। তাই মেলায় রামের ছবি থাকলে অপরাধটা কোথায়? আসলে রাম নামে ভয় পায় ভূত। অভিযোগকারীরা নিজেদের পরিচয় নিজেরাই ঠিক করুক।”
মেলার প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েতের প্রধান অর্চনা বাগ বলেন, “পূণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য প্রায় ২০০ অস্থায়ী শৌচালয় তৈরি ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, “নদী পারাপারের জন্য ১৫টি নৌকা, ২টি ভেসেল থাকছে। ১০টি ফেরিঘাট ও ওয়াচ টাওয়ার করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”