প্রতীকী চিত্র
বিরোধীশূন্য পুরসভা নিয়ে আড়াই বছর ধরে বহু অভিযোগ-কটাক্ষ করেছেন দুর্গাপুরের বিরোধী দলের নেতারা। এ বার শাসকদলের এক নেতাও সে প্রশ্নে দলের একাংশের কার্যত সমালোচনা করলেন দলীয় কর্মীদের বৈঠকে। ঘটনা জানাজানি হতেই বেধেছে বিতর্ক।দুর্গাপুর পুরসভার ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার সিটি সেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে আইএনটিটিইউসির এক কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে বলেন, ‘‘আমরা ৪৩ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি।... সবাইকে জিতিয়ে দিয়ে এই যে একক ভাবে ক্ষমতা দখলের যে স্পৃহা, এটা আমাদের ক্রমশ পিছনের দিকে (ব্যাকফুটে) ঠেলে দিয়েছে।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘অন্তত যদি ১০ জন বিরোধী কাউন্সিলর নির্বাচিত হতেন, আমরা আঙুল দিয়ে দেখাতে পারতাম, শাসক দলের জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরা যে কাজটা করতে পারছি, ওঁরা সেটা পারছেন না।’’
২০১৭ সালের ১৩ অগস্ট দুর্গাপুর পুরসভার নির্বাচন হয়। বিরোধীরা ব্যপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলে। তার পর থেকে প্রতি বছর এই দিনটিকে ‘ব্ল্যাক-ডে’ হিসেবে পালন করে বিরোধীরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজরায় সরকার বলেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচন আসছে সামনে। তাই বোধ হয়, এমন ভোল বদলের চেষ্টা। তবে লাভ হবে না।’’ বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সে দিন কী হয়েছিল, দুর্গাপুরের সবাই জানেন। লোকসভা ভোটে এক বার মানুষের ক্ষোভের প্রমাণ পেয়েছে তৃণমূল। বাকিটা পাবে বিধানসভা নির্বাচনে।’’
চন্দ্রশেখরবাবুর মন্তব্য ও বিরোধীদের কটাক্ষ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলার অন্যতম মুখপাত্র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের দলে যথেষ্ট গণতন্ত্র রয়েছে। অভাব-অভিযোগ প্রত্যেকেরই থাকতে পারে। তবে কারও যদি কিছু বলার থাকে, ব্যক্তিগত কোনও মত থাকে তবে তা তিনি দলীয় নেতৃত্বকে জানাবেন, সেটাই বাঞ্ছনীয়।’’