টুমনি নদীর উপরে সেতুর সংযোগকারী রাস্তা। নিজস্ব চিত্র
৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে টুমনি নদীর উপরের নতুন সেতুর এক দিকের সংযোগকারী রাস্তার কিছুটা বসে গিয়েছে। ‘অ্যাপ্রোচ স্ল্যাব’ সেতু থেকে খানিকটা সরে গিয়েছে। এর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর এলাকায়। বিডিও (পাণ্ডবেশ্বর) কৌশিক সমাদ্দার জানান, বুধবার বিকেলে বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সড়ক কর্তৃপক্ষ সংস্কার কাজ শুরু করেছে।
কী কারণে এই বিপত্তি? জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেতুর সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তার সংযোগস্থলে ‘অ্যাপ্রোচ স্ল্যাব’ মাটির উপর বসানো হয়। সেতুর সঙ্গে সড়কের সংযোগকারী রাস্তার মাটি বসতে কয়েকবছর সময় লাগে। নতুন সড়কে বর্ষা ও শীতে প্রাকৃতিক নিয়মে কম-বেশি বসে যেতেই পারে। বর্ষার জল কোনও ভাবে ‘স্ল্যাব’-এর নীচে ঢুকে মাটি আলগা করে দিয়েছে। তার জেরেই এই বিপত্তি বলে অনুমান করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এটি ধসের কোনও ঘটনা নয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে টুমনি নদীর উপরে পুরনো সেতুর পাশে নতুন সেতু তৈরি করা হয়। এর পরে মূল রাস্তাটিকে খোট্টাডিহি মোড় থেকে প্রায় এক কিলোমিটারের বেশি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে নতুন সেতু দিয়ে যাতায়াত শুরু হয়। এই সেতুর এক দিকে পাণ্ডবেশ্বর ও অন্য দিকে রানিগঞ্জ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বুধবার পাণ্ডবেশ্বরের দিকে যাওয়ার রাস্তার সংযোগস্থলে ‘অ্যাপ্রোচ স্ল্যাবটি’ এক ইঞ্চির মতো সরে গিয়েছে। ‘স্ল্যাব’ লাগোয়া রাস্তার লম্বায় কয়েক ফুট বসে গিয়েছে। এই সড়ক দিয়ে ইসিএলের বিভিন্ন খনির কয়লা পরিবহণ হয়। এ ছাড়া, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এটি।
সড়ক কর্তৃপক্ষ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত পথের দু’দিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফে দুর্গাপুর কার্যালয়ের সহ-বাস্তুকার দত্তাত্রেয় তরফদার জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে স্থায়ী মেরামতির
ব্যবস্থা করা হচ্ছে।