Adhir Chowdhuri

রাষ্ট্রপতি শাসন থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, এক যোগে বিজেপি তৃণমূলকে আক্রমণ অধীরের

রাষ্ট্রপতি শাসন জারি প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন অধীর। তিনি বলেন, “এ রাজ্যে তো রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দিতেই পারে বিজেপি। কেন্দ্রে তো ওদেরই সরকার আছে। এত ভাষণ দেওয়ার কী দরকার আছে?”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:০৩
Share:

বর্ধমানে অধীর। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন থেকে বিধানসভা ভোট, ধানের সহায়ক মূল্য থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড-- ভোটের মুখে এমন জ্বলন্ত সব ইস্যুতে বিজেপি এবং তৃণমূলকে এক সারিতে রেখে আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শুক্রবার কলকাতা থেকে বহরমপুর ফেরার পথে বর্ধমানের ডিভিসির সেচ বাংলোয় জেলা কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তৃণমূল এবং বিজেপিকে এক হাত নেন অধীর।

Advertisement

রাষ্ট্রপতি শাসন জারি প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন অধীর। তিনি বলেন, “এ রাজ্যে তো রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দিতেই পারে বিজেপি। কেন্দ্রে তো ওদেরই সরকার আছে। এত ভাষণ দেওয়ার কী দরকার আছে? যেমন ৩ জন আইপিএস অফিসারকে তুলে নিচ্ছে, তেমন অমিত শাহ রাজ্যপালকে বলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দিন। এই নিয়ে আমাদের গরম খাইয়ে কোনও লাভ নেই।”

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বিধানসভার ভোট করানো প্রসঙ্গে অধীর বলেন, “নিচু তলার পুলিশ তো তৃণমূলের হয়ে কাজ করবে। প্রতিটি বুথে প্রতিটি গ্রামে কি বাহিনী যেতে পারবে? আর সেখানেও তো তো রাজ্য পুলিশ ছাড়া যাওয়া সম্ভব নয়। তাই শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করালেই সব হবে না, আমরা চাই রাজ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।”

Advertisement

সহায়ক মূল্যে ধান কেনার প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকারকে এক হাত নেন অধীর। তাঁর দাবি, "পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড সরকার কৃষকদের থেকে ১ কুইন্টাল ধান আড়াই হাজার টাকায় কিনছে। অর্থাৎ কেন্দ্র এই বাবদ যা আর্থিক সাহায্য করছে, তার উপর রাজ্য সরকার অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বেশি দামে ধান কিনছে। এ সব আমাদের রাজ্যে নেই। এখানে শুধু আছে ভাষণ।”

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন অধীর। তাঁর দাবি, কোন কোম্পানি বীমা করবে, কোথায় টাকা পাওয়া যাবে, সে সম্পর্কে কেউ কিছু জানেন না। শুধু বলা হচ্ছে, ৫ লাখ টাকার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দেওয়া হল। আর সত্যি যদি এ রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামো ভাল হত তবে এত মানুষকে বেঙ্গালুরু বা দক্ষিণ ভারতে যেতে হত না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement