প্রতীকী ছবি।
রাস্তা আটকে পুলিশের সামনেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। রবিবার বিকেলে মেমারির কেজা গ্রামের কাছে বড়পুলের উপরের ঘটনা। মেমারির আমাদপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সাধনা হাজরার ছেলে-সহ ১২ জন জখম হয়েছেন বলে তৃণমূলের দাবি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভীষ্মদেব ভট্টাচার্য-সহ বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগও হয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূল হামলার চেষ্টা করেছিল। তারই প্রতিবাদ করা হয়েছে।
মেমারির তৃণমূল নেতা স্বপন ঘোষালের অভিযোগ, বিজেপির মিছিল চলছিল ওই রাস্তায়। তৃণমূলেরও মোটরবাইক মিছিল চলছিল। অভিযোগ, বড়পুলের উপরে বিজেপির লোকেরা রাস্তা আটকে লাঠি-বাঁশ দিয়ে হামলা চালায়। আমাদপুর পঞ্চায়েতের প্রধানের অভিযোগ, ‘‘ঘটনাস্থলে পুলিশের গাড়ি ছিল। বিজেপির লোকেরা হামলা চালাচ্ছে দেখেও তাঁরা আটকানোর চেষ্টা করেনি।’’ এ দিন সন্ধ্যায় মেমারি থানার সামনে বিক্ষোভও দেখায় তৃণমূল।
বিজেপি নেতা ভীষ্মদেববাবুর পাল্টা দাবি, ‘‘নিমো থেকে কেজা পর্যন্ত আমাদের মিছিল আছে জেনেও পুলিশ তৃণমূলকে কী ভাবে একই রাস্তায় বাইক মিছিল করার অনুমতি দিল!’’ তাঁর দাবি, তৃণমূল আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। তার প্রতিরোধ করা হয়েছে। যা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত বলেও দাবি করেছেন তিনি। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘শুরুতেই কঠোর হাতে দমন করা উচিত ছিল। কেন এমন হল, সেটা দেখছি।’’