West Bengal Board of Secondary Education

জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমে গেল তিন হাজার

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের চেয়ে এ বার জেলায় প্রায় তিন হাজার পরীক্ষার্থী কম। গত বছর জেলায় ৫২,৬০৬ জন পরীক্ষা দিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:০০
Share:

ফাইল চিত্র

মাঝে আর একটি দিন। তার পরেই শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। এ বার মাধ্যমিকের পরীক্ষার ঘরে নজরদারির সুযোগ পাচ্ছেন পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকারাও। বুধবার প্রতিটি জেলার স্কুল পরিদর্শকদের (মাধ্যমিক) চিঠি পাঠিয়ে সে কথা জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। গত বছরের মতো এ বারও উপ-পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা।

Advertisement

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের চেয়ে এ বার জেলায় প্রায় তিন হাজার পরীক্ষার্থী কম। গত বছর জেলায় ৫২,৬০৬ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। এ বার সেখানে ৪৯,৬২২ জন পরীক্ষায় বসছে। এ বারও ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। ছাত্রী যেখানে ২৮,৮৮০ জন, সেখানে ছাত্র রয়েছে ২০,৭৪২ জন। জেলায় মোট প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্র ৮৮টি, উপ-কেন্দ্র ৪৪টি। এখনও পর্যন্ত ১১টি কেন্দ্র স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্ষদ সূত্রে জানা যায়, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পর্যাপ্ত পুলিশ, র‍্যাফ, টহলদার গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাঁচিল নেই, এমন কিছু স্কুলে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। স্পর্শকাতর কেন্দ্রে সিসি (‌ক্লোজ়ড সার্কিট) ক্যামেরা রাখার কথাও ভাবা হয়েছে বলে জানায় প্রশাসন।

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘মাধ্যমিকের সময়ে যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সমস্ত থানাকে সতর্ক করে দিয়েছেন পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে কোথায়-কোথায় কী সমস্যা রয়েছে, তা খুঁজে বার করে সমাধানও করা হচ্ছে।’’ শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের চেয়ে প্রায় তিন হাজার কম পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে বসছে। আবার, ২০১৯ সালে মাধ্যমিকের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিল ৫৬,৬৮৮ জন। সেই তুলনায় পরীক্ষায় বসছে প্রায় সাত হাজার কম পড়ুয়া। শিক্ষা দফতরের কর্তাদের মতে, নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের পরে অনেক পরীক্ষার্থী দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারে না। আবার অনেকে নবম শ্রেণিতে উঠেও কাজের খোঁজ-সহ নানা কারণে আর পরীক্ষা দেয় না। সে কারণেই এই ছবি দেখা গিয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন। শিক্ষকদের একাংশ আবার দাবি করেন, শহর ছাড়িয়ে গ্রামীণ এলাকাতেও বেশ কয়েক বছর ধরে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল গড়ে উঠেছে। তার অনেকগুলি অন্য নানা বোর্ডের অন্তর্গত। এই ঘটনা তারই ফল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement