পাড়া রাতারাতি ‘বিখ্যাত’, দাবি সাংসদের পড়শিদের

সুনীলবাবুর বাড়ির পাশেই থাকেন দীর্ঘদিনের পড়শি, সুলেখা হাজরা, অনুমিতা হাজরারা। তাঁরা জানান, সকালে দিকে বিষয়টা ততটা বুঝতে পারেননি।

Advertisement

বিপ্লব ভট্টাচার্য

কাঁকসা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:১১
Share:

সুনীলবাবুর বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

সকাল থেকে রাজ্য রাজনীতির কেন্দ্রে একটি বিস্কিট রঙের তিন তলা বাড়ি। ওই বাড়িরই কর্তা, বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। ওই পাড়ায় রয়েছে আরও দশ-বারোটি বাড়ি। কাঁকসা থানার ঠিক উল্টো দিকের এই পাড়ায় সকাল থেকেই উৎসুক ছিল জনতা। নেপথ্যে, সেই রাজনীতিই! সময় যত গড়িয়েছে, তৃণমূলের ‘হেভিওয়েট’ নেতাদের ভিড়, সর্বোপরি শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি এলাকাকে রাজ্যে ‘বিশেষ’ পরিচিতি দিল, মনে করছেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ।

Advertisement

সুনীলবাবুর বাড়ির পাশেই থাকেন দীর্ঘদিনের পড়শি, সুলেখা হাজরা, অনুমিতা হাজরারা। তাঁরা জানান, সকালে দিকে বিষয়টা ততটা বুঝতে পারেননি। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ভিড়, রাজনৈতিক নেতা, কর্মীদের ‘সরগরম’ উপস্থিতি তাঁরা জানলা-দরজার ফাঁক দিয়ে দেখেছেন। এলাকার এই পরিচিতিতে তাঁরা খুশিও। তাঁরা বলেন, ‘‘ভাবতেই পারি না, আমাদের পাড়াটা রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গেল। তা সে যে কারণেই হোক।’’ এলাকাবাসী জানান, এক সঙ্গে এত জন নেতার উপস্থিতি, এমন ‘আবহ’ তাঁরা এলাকায় ইতিপূর্বে দেখেননি।

একই কথা জানাচ্ছেন স্থানীয় দশকর্মার দোকানের মালিক পরেশনাথ ভট্টাচার্য। তবে তাঁর নজরে বিশেষত শুভেন্দুবাবুই। তিনি বলেন, ‘‘টিভি, কাগজ খুললেই যাঁর কথা দেখতে পাচ্ছি কয়েক মাস ধরে, তাঁকে যে পাড়াতেই আসতে দেখব, এমনটা ভাবিনি।’’ একই পাড়ার বাসিন্দা মানস কুণ্ডু, সায়ন দে, নীলকণ্ঠ পালেরাও জানান, পাড়ার অনেকের নিমন্ত্রণও ছিল সুনীলবাবুর মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে। কিন্তু তা ছাপিয়ে প্রাধান্য পেল রাজনৈতিক চালচিত্র।

Advertisement

তবে এ সব দেখেশুনে তৃণমূলের কাঁকসা ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সীর অবশ্য প্রতিক্রিয়া, ‘‘কে, কে এলাকায় এলেন, কী বৈঠক করলেন, তাতে কিছু যায়-আসে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement