১২ ডিগ্রিতে জবুথবু শহর

মঙ্গলবার কনকনে ঠান্ডার ধাক্কা সামলে অফিস, স্কুল, কলেজ থেকে চাষের মাঠ কোথাও বিশেষ লোক দেখা যায়নি। যাঁরা বেরিয়েছেন তাঁদেরও সঙ্গী ছিল সোয়েটার, টুপি, ছাতা, রেনকোট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:১২
Share:

মাঠে বসেই আগুন পোহাচ্ছেন চাষিরা, কালনায়। নিজস্ব চিত্র

২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা কমেছে ৪ ডিগ্রি। সঙ্গে মেঘলা আবহাওয়া, টানা ঝিরঝিরে বৃষ্টি। এককথায়, শীতে জবুথবু জেলাবাসী।

Advertisement

মঙ্গলবার কনকনে ঠান্ডার ধাক্কা সামলে অফিস, স্কুল, কলেজ থেকে চাষের মাঠ কোথাও বিশেষ লোক দেখা যায়নি। যাঁরা বেরিয়েছেন তাঁদেরও সঙ্গী ছিল সোয়েটার, টুপি, ছাতা, রেনকোট। আবহাওয়া দফতর সূতত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি।

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কোথাও ২০ মিলিমিটার, কোথাও ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বিকেলে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও বেড়েছে ঠান্ডা। যাঁরা মাঠের কাজে গিয়েছেন তাঁদেরও জমিতেই আগুন জ্বালিয়ে শীত কাটাতে দেখে গিয়েছে। চাষিরা জানিয়েছেন, আচমকা বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কাটা ধান ঘরে তোলার সুযোগ পাননি তাঁরা। ফলে জমিতেই পড়েরয়েছে ধানের গোছা। বৃষ্টি বাড়লে পাকা ধান ঝড়ে পড়ারও আশঙ্কা করছেন তাঁরা। কালনার নিউ মধুবন এলাকার চাষি রামলক্ষ্মণ কাহার বলেন, ‘‘বোরো ধানের চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করা খুব জরুরি এখন। কিন্তু এমন আবহাওয়ায় বেশি ক্ষণ কাজ করা যাচ্ছে না। মাঝে মধ্যেই আগুন জ্বেলে গা সেঁকে নিতে হচ্ছে।’’

Advertisement

যদিও আশঙ্কার থেকে স্বস্তিটাই বেশি। কৃষি দফতরের দাবি, আমন মরসুমে পর্যাপ্ত জল না মেলায় ধান বাঁচাতে মুশকিলে পড়েছিলেন চাষিরা। রবি মরসুমে উপকারে আসবে এই বৃষ্টি। জেলার এক সহ কৃষি অধিকর্তা নিলয় কর বলেন, ‘‘জোরে বৃষ্টি জলস্তরের উন্নতিতে কাজে আসে না। দু’দিন ধরে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হওয়ায় চাষিরা উপকার পাবেন।’’

তবে ধান, আনাজে উপকার হলেও মাথায় হাত আলু চাষিদের। কারণ বীজ হিসেবে যে সমস্ত আলু মাটির নীচে পোঁতা আছে, সেগুলি জলে পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার বৃষ্টি থেমে রোদ উঠলে জমিতে ছত্রাকের হামলা দেখা যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement