প্রতীকী ছবি।
সিএনজি-সমস্যা মেটাতে ফের বৈঠক হল। কিন্তু সমাধানসূত্র মিলল না সোমবারও। এ দিন কুলটিতে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। সেখানে বেসরকারি গ্যাস সংস্থার তরফে জানানো হয়, তারাও চান দ্রুত সমস্যা মিটুক। কিন্তু পরিবহণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত গ্যাস পাঠানো সম্ভব নয়। বৈঠকে আইএনটিটিইউসি-র তরফে দাবি করা হয়, ছাব্বিশ জন চালকের মধ্যে বাইশ জন পুরনো ও চার জন নতুন চালক রাখতে হবে। কিন্তু সংস্থার তরফে পুরনো চালকদের রাখলে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে বলে দাবি করা হয়। এই পরিস্থিতিতে বৈঠকে কোনও রফাসূত্র বেরোয়নি বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
আসানসোলে বেসরকারি গ্যাস সংস্থায় ২৭ জুন গ্যাস সরবরাহকারী গাড়ির চালকেরা ইএসআই, পিএফের সুবিধা ও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। নেতৃত্ব দেয় আইএনটিটিইউসি। এর জেরে পশ্চিম বর্ধমান ছাড়াও লাগোয়া রাজ্য ঝাড়খণ্ডে সিএনজির আকাল তৈরি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বৈঠকের পরে ৩০ জুন থেকে গাড়ি চালকেরা কাজ শুরু করেন। কিন্তু সে দিন এক গাড়ি চালককে কাজ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ফের আন্দোলন শুরু করেন অন্য চালকেরা। পর দিন আবার বৈঠকের পরে চালকেরা কাজে যোগ দেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ১ জুলাই থেকে শহরের কোনও গ্যাস ভরার কেন্দ্রে সিএনজি সরবরাহ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে সিটু এবং আইএনটিটিইউসি।
গ্যাস না পেয়ে বিপাকে পড়ছেন সিএনজি-চালিত গাড়ি ও অটোর চালকেরা। ব্যবসা মার খাচ্ছে বলে অভিযোগ অটো চালকদের। সমস্যা মেটাতে শুক্রবার বৈঠক ডাকেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (পরিবহণ) প্রশান্ত মণ্ডল। গ্যাস সংস্থার আধিকারিকেরা ছাড়াও ছিলেন সিটু এবং আইএনটিটিইউসি-র প্রতিনিধিরা। আমন্ত্রণ জানানো হয় ডেপুটি লেবার কমিশনারকেও। প্রশান্তবাবু বলেন, ‘‘গ্যাস সংস্থাকে জনস্বার্থে দ্রুত গ্যাস সরবরাহ চালুর নির্দেশ দিয়েছি।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গাড়ির চালক ও অন্য শ্রমিক-কর্মীদের কল্যাণে একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। আসানসোলের মহকুমাশাসক সেটির সভাপতি, দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক নোডাল অফিসার হয়েছেন। সদস্য হিসেবে আছেন দুই শ্রমিক সংগঠন, গ্যাস সংস্থার প্রতিনিধিরা ও ডেপুটি লেবার কমিশনার।
অটো চালকদের অভিযোগ, এর পরে শনিবার গ্যাস সরবরাহ হলেও রবিবার থেকে ফের সমস্যা শুরু হয়। সোমবারও দুর্গাপুরে সিএনজি-র আকাল ছিল বলে তাঁদের অভিযোগ। এ দিন বৈঠকে সমস্যা মেটার আশা করছিলেন অটো চালকেরা। কিন্তু তা না হওয়ায় তাঁরা হতাশ।