দুর্গাপুরের এমএএমসি কলোনিতে বি-টু ডাউন এলাকার একটি কুমোরপাড়ায়। —নিজস্ব চিত্র।
বৃষ্টি যেন পিছু ছাড়ছে না। বর্ষার সময়ে সে ভাবে বৃষ্টি না হলেও, অগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে পরপর নিম্নচাপে নাজেহাল অবস্থা মানুষের। সামনেই দুর্গাপুজো। এই পরিস্থিতিতে চরম সমস্যায় পড়েছেন জেলার মৃৎশিল্পীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, আগুন জ্বালিয়ে প্রতিমা শুকোতে হচ্ছে। এর জেরে খরচ বাড়ছে। এতে লাভ কমবে বলে আশঙ্কা করছেন শিল্পীরা।
দুর্গাপুরের শহরের মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, দুর্গাপুর শহর ছাড়াও পানাগড়, বুদবুদ, অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, আসানসোলের মতো বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিমার বরাত আসে। কাজেই এ সময় নাওয়া-খাওয়া ভুলে প্রতিমা তৈরিতেই ব্যস্ত তাঁরা। কিন্তু তাঁদের কাজে সমস্যা তৈরি করছে বৃষ্টি। শিল্পীরা জানান, প্রতিমায় মাটি লাগানোর কাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু রঙের কাজ বাকি। কিন্তু প্রতিমা না শুকোলে রঙের কাজ করা যায় না। টানা বৃষ্টি সেই কাজে অনেকটাই সমস্যা তৈরি করছে। অগত্যা কয়লা, গ্যাসের ব্যবহার করতে হচ্ছে। আর এর ফলে খরচ বাড়ছে তাঁদের। শিল্পীরা জানান, প্রায় ১৫ হাজার টাকা থেকে শুরু প্রতিমার দাম। সর্বোচ্চ লক্ষাধিক।
দুর্গাপুরের বেনাচিতির জেকে পাল লেনের শিল্পী অরুণ পাল জানান, এ বছর ছোট-বড় মিলিয়ে তিনি ৫০টি প্রতিমা তৈরি করছেন। ৩০ জন কর্মী দিনরাত কাজ করছেন। কিন্তু বৃষ্টির জন্য প্রতিমা শুকোতে সময় লাগছে। তাই কয়লা আর গ্যাস ব্যবহার করে কোনও রকমে প্রতিমা শুকোনোর কাজ চলছে। তিনি বলেন, “এর ফলে প্রতিমা পিছু ৪ থেকে ৫ হাজার অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে। এই যে অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে, তা কোনও ভাবেই পূরণ করা যাবে না। কারণ, প্রতিমার দাম আগে থেকেই ঠিক করা আছে। এই খরচ আমাদের লভ্যাংশ থেকেই যাবে।” একই কথা জানান দুর্গাপুরের গ্যামনব্রিজ কুমোরপাড়ার আর এক শিল্পী কৃষ্ণেন্দু পাল। তিনি বলেন, “রোদ থাকলে বাড়তি খরচ
হত না।”