প্রতীকী ছবি
‘লকডাউন’-পর্বের পুরো বেতনই দিতে হবে শ্রমিকদের। এমনই আর্জি জানিয়ে সংগঠনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে, জানালেন সিটু নেতা তথা রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্ত।
সিটুর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের শুরুতে লকডাউন চলাকালীন পুরো বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়। রুনুবাবু জানান, গত ১৮ মে দুর্গাপুরে আইএনটিটিইউসি, মালিকপক্ষ ও শ্রম দফতরের বৈঠকে ঠিক হয়, লকডাউন-পর্বে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রের শ্রমিকদের বেতনের বদলে পাঁচ হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হবে। সিটুর অভিযোগ, ওই বৈঠকে শ্রম দফতর আইএনটিটিইউসি বাদে কোনও সংগঠনকে ডাকেনি। ফলে, ওই সিদ্ধান্ত তাঁরা মানছেন না বলে জানান সিটু নেতৃত্ব। যদিও, সিটুর অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি ডেপুটি লেবার কমিশনার (দুর্গাপুর) অরুণিমা বিশ্বাস।
এর পরেও রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর ও জামুড়িয়ার ইকড়া শিল্পতালুকে কয়েকটি কারখানা লকডাউনের আগের মাসখানেকের বেতন ও লকডাউন-পর্বে অগ্রিম দেয়নি বলে অভিযোগ। আবার আবার কিছু সংস্থা আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা অগ্রিম দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে সিটু। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলপুর শিল্পতালুকের একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানার কর্মী গৌতম রজক দাবি করেন, তিনি-সহ অন্যেরা ফেব্রুয়ারির অর্ধেক ও মার্চের বেতন এখনও পাননি। যদিও, ‘জামুড়িয়া চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজ়’-এর সম্পাদক অজয় খেতান জানান, ওই দু’টি শিল্পতালুকের প্রায় সব কারখানা বেতন ও অগ্রিম দিয়েছে। যারা দেয়নি তারাও খুব দ্রুত বকেয়া মিটিয়ে দেবে বলে তাঁর আশ্বাস।
এ দিকে, সিটুর অভিযোগ ও মামলা প্রসঙ্গে আইএনটিটিইউসি নেতা নির্মল পালের প্রতিক্রিয়া, “সিটু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। কয়েকটি কারখানা এখনও অগ্রিম দেয়নি। কিন্তু তা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।” রুনুবাবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা আদালতের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। আমাদের দাবি, লকডাউনের পুরো বেতনই দিতে হবে।” বণিকসভা জানায়, আদালতের নির্দেশ মতো কাজ করা হবে।